ভার্চুয়াল দুনিয়া ছেড়ে দু'বছর একুশে জুলাইয়ের সভা ধর্মতলায় ফেরার দিনে ২০২৪ সালের সুর বেঁধে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল কংগ্রেসের শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠান থেকে আগাগোড়া বিজেপিকে আক্রমণ শানালেন। এখন যে তাঁর লক্ষ্য ২০২৪ সাল, তা বুঝিয়ে দিলেন।
‘রেলের ৮০,০০০ চাকরি তুলে দিয়েছে বিজেপি সরকার’
মতা বন্দ্যোপাধ্যায়: রেলের ৮০,০০০ চাকরি তুলে দিয়েছে বিজেপি সরকার।
'গরিবের প্রধানমন্ত্রী চাই, বিত্তবানদের নয়', বললেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বিজেপিকে বলুন, আমাদের গরিবের প্রধানমন্ত্রী চাই, বিত্তবানদের প্রধানমন্ত্রী চাই না। ২০২৪ সালে মানুষে একুশ মানেই ২০২৪ সালে বিজেপিকে ঠেকানোর আশা। ২০২৪ সালের বিজেপির কারাগার ভেঙে ফেলুন।
‘ভারতে একটাই আদর্শবাদী দল থাকবে, সেটা তৃণমূল কংগ্রেস’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমি চাই, ভারতে একটাই রাজনৈতিক দল থাকুক - সাংস্কৃতিক তৃণমূল কংগ্রেস। ভারতে একটাই রাজনৈতিক দল থাকুক, যে দল আদর্শবাদী, সম্প্রীতি বজায় রাখে।
‘তৃণমূলকে পরিচ্ছন্ন দল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: সকালে হাঁটবেন। মা-আম্মাকে নমস্কার করবেন। তৃণমূলকে পরিচ্ছন্ন দল হিসেবে গড়ে তুলতে চাই।
‘২০২৪ সালে প্রতিটি আসনে জিততে হবে’, বললেন তৃণমূল সুপ্রিমো
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ২০২৪ সালে প্রতিটি আসনে জিততে হবে। ত্রিপুরা, অসম, মেঘালয়ে জিততে হবে। উত্তরপ্রদেশে জিততে হবে। আমরাও লড়াই করব। আমরা সমর্থনও করব।
'২০২৪-তে একক BJP সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে না'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ২০২৪ সালের নির্বাচনে বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাঠাবে না। আমি চ্যালেঞ্জ করছি। বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে বাকি দলগুলি এক হয়ে যাবে।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ইডির ভয় দেখিয়েছিল ‘গদ্দাররা’: মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সময় নরেশকে ফোন করেছিল গদ্দাররা। বলছে যে বিজেপির হয়ে ভোট না দিলে ইডি পাঠাবে।
'চাইলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে BJP-র ভোট নিতে পারতাম'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমি চাইলে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিজেপির ভোট নিয়ে নিতে পারতাম।
‘নেত্রীর থেকেও দল বড়’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: একুশে জুলাইয়ের চাঁদা তোলা নিয়ে দুটি অভিযোগ এসেছে। কারও থেকে দলের নামে চাঁদা তুলবেন না। নেত্রীর থেকেও দল বড়।
'চায়ের দোকানে বসে TMC কর্মীদের আড্ডা মারতে দেখতে চাই'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমি দেখতে চাই যে আমাদের কর্মীরা সাইকেলে চেপে ঘুরছেন। বিধায়করা পায়ে হেঁটে ঘুরছেন। সাংসদরা রিকশায় চেপে ঘুরবেন। চায়ের দোকানে বসে আমাদের কর্মীদের আড্ডা মারতে দেখতে চাই। চা খেয়ে টাকাটা দিয়ে দেবেন। ওঁরাও (চা দোকানের কর্মী) গরিব।
‘দেশের জন্য আমরা আছি’, বার্তা মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: দেশের জন্য আমরা আছি। দেশের প্রয়োজনে সবসময় আছি। কিন্তু ইডি, সিবিআইকে দিয়ে ভয় দেখিও না।
'১০০ দিনের টাকা দিতে হবে, নাহলে দিল্লি ঘেরাও', হুঁশিয়ারি মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বাংলা ভোট দেয়নি বলে টাকা দেবে না। ১০০ দিনের প্রকল্পের টাকা দিতে হবে। টাকা দিচ্ছে না কেন্দ্র। টাকা না দিলে ট্রেনে করে দিল্লিতে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাও।
'বাংলার সরকার নাকি ভাঙবে! কভি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দেখা?'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: মহারাষ্ট্রের সরকার ভেঙেছে। এখন বলছে যে বাংলার সরকার ভাঙবে বলেছে। আমি বলেছি, এখানে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার আছে না, তা দুর্দান্ত (কভি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার দেখা?)। কখনও জঙ্গলমহল, জলপাইগুড়ি, কালচিনি দেখেছে কখন? দার্জিলিঙেও হেরেছে।
‘অগ্নিপথে না হেঁটে সেনায় লোক নাও’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: এখন আবার অগ্নিপথ শুরু করেছে। আর্মির সঙ্গে বঞ্চনা কর না। আর্মিতে নিয়োগ করতে হবে। অগ্নিপথ দিয়ে নিজেদের ক্যাডার তৈরি করা হচ্ছে। অগ্নিপথে না হেঁটে সেনায় লোক নাও।
ভিড় থেকে মুড়ি খেলেন মমতা, বললেন ‘মুড়ি ফিরিয়ে দাও’
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে মুড়ি খেলেন। সমাবেশে হাজির এক ব্যক্তির থেকে মুড়ি আনিয়ে নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের মুড়ি ফিরিয়ে দাও। নইলে বিজেপি বিদায় নাও।
নাম না করে গণশক্তিকে তোপ মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: সিপিআইএমের একটা কাগজ আছে। সিপিআইএমের একটি কাগজ আছে। নাম করতে চাই না। তার রিপোর্টারদের স্ত্রী'রা কীভাবে শিক্ষকতা চাকরির পেয়েছিলেন?
'সিপিআইএমের আমলে ১০-১৫ লাখ টাকায় চাকরি দেওয়া হত'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: যে যার দক্ষতায় চাকরি পাবেন, কাউকে সিপিআইএমের আমলে ১০-১৫ লাখ টাকায় দেওয়া হত। সিপিআইএমের একটা কাগজ আছে। সিপিআইএমের একটি কাগজ আছে। নাম করতে চাই না। তার রিপোর্টারদের স্ত্রী'রা কীভাবে শিক্ষকতা চাকরির পেয়েছিলেন?
'বিকাশবাবু দেখাচ্ছেন যে সাধুপুরুষ, ফাইলটা বের করব?'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বিকাশবাবু গিয়ে বলছেন, দেখাচ্ছেন যে সাধুপুরুষ। ভাজা মাছটা উলটে করতে পার। বার্থ সার্টিফিকেট দেওয়ার নামে (দুর্নীতি) হয়েছিল। সেই ফাইলটা বের করব? 'বদলা চাই না' বলে এগুলো করিনি।
‘বিজেপি কুটুস-কুটুস করে কামড়াচ্ছে’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: আমরা চাই চাকরি হোক, বিজেপি চায় চাকরি যাক। বিজেপি কুটুস-কুটুস করে কামড়াচ্ছে।
‘শিক্ষকদের ১৭,০০০ পদ তৈরি আছে’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: শিক্ষকদের ১৭,০০০ পদ তৈরি আছে। কোর্টে কেস চলছে বলে নিয়োগ করতে পারছি না।
'লাখ-লাখ কর্মসংস্থান হবে বাংলায়', দাবি মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ডেউচা পাঁচামির কাজ চলছে। আদিবাসী ছেলেমেয়েরা চাকরি পাবেন। তাজপুর বন্দর, সিলিকন ভ্যালি হচ্ছে। প্রচুর যুবক-যুবতী চাকরি পাবেন। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ৭২,০০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। কয়েক লাখ কর্মসংস্থান হবে।
‘একদিকে কৃষি, অন্যদিকে শিল্প, জোর করে জমি নয়’,
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: ২০২১ সালে আমাদের হারাতে চেয়েছিল বিজেপি। পারেন। দেশের সর্বত্ত। আমার চ্যালেঞ্জ একদিকে কৃষি, অন্যদিকে শিল্প। জোর করে কারও বাড়ি বা জমি নেব না।
‘তৃণমূল থাকলে কন্যাশ্রী, বিনামূল্যে রেশন পাবেন’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: তৃণমূল থাকলে কন্যাশ্রী, বিনামূল্যে রেশন, স্বাস্থ্যসাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কৃষকবন্ধু, পেনশন পাবেন, ভাতা, ঐক্যশ্রী পাবেন। তাই তৃণমূলকে দরকার।
'বৃষ্টি দেখে BJP, CPIM হাসছিল', তোপ মমতার
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: বৃষ্টি দেখে বিজেপি খুব ভাবছিল, সিপিআইএম খুব হাসছিল। কিন্তু এত বৃষ্টিতে তৃণমূল কর্মীরা এখানে আছেন। তৃণমূল দলটা কত মিষ্টি। কখনও রৌদ্র, কখনও বৃষ্টি।
'মানুষের বৃষ্টি ২০২৪-তে BJP-কে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে'
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: মানুষের এই বৃষ্টি ২০২৪ সালে বিজেপিকে দেশ থেকে ভাসিয়ে নিয়ে চলে যাবে। ওরা লড়াই করতে জানে না, আমরা জানি। ওদের মেরুদণ্ডের দু'দিকে আছে - ইডি এবং সিবিআই।
‘কে বড়, কে ছোটো, সেই লড়াইয়ে যাবেন না’, গোষ্ঠীকোন্দল থামাতে বার্তা অভিষেকের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: কে বড়, কে ছোটো, সেই লড়াইয়ে যাবেন না। এই লড়াইয়ে এক নম্বর হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই দলে নেতাদের থেকে কর্মীদের মর্যাদা বেশি। কারণ সাংসদ, মন্ত্রী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যানরা প্রাক্তন হতে পারেন, কর্মীরা কখনও প্রাক্তন হন না।
'২০২৪-র লোকসভা ভোটে বাংলার বাইরেও লড়বে TMC'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: লোকসভা ভোটে পশ্চিমবঙ্গের বাইরেও লড়াই করবে তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গে তো তৃণমূল জিতবেই। বাইরের রাজ্যেও জিতবে।
‘দাদার জয় বয়ে পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের টিকিট নয়’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: দাদার জয় বয়ে পঞ্চায়েত ভোটে টিকিট পাবেন না। মানুষের সার্টিফিকেট পেলে তবেই পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূলের টিকিট পাবেন।
‘সারা ভারতে তৃণমূল', বার্তার অভিষেকের
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: অসম, ত্রিপুরা, মেঘালয়, গোয়ায় তৃণমূল গিয়েছে। আমি প্রতিজ্ঞা করছি, যতদিন না ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূলের পায়ের তলার মাটি শক্ত হচ্ছে, ততদিন আমি জায়গা ছাড়ব না।
‘আজকের তৃণমূল অন্য তৃণমূল'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: আজকের তৃণমূল অন্য তৃণমূল। এই তৃণমূলে মীরজাফর, ধান্দাবাজরা নেই। এই তৃণমূল বিশুদ্ধ লোহার মতো নয়। যত মারবেন, তত শুদ্ধ হবে।
‘হয় ঠিকাদারি করবেন, নাহলে তৃণমূল করবেন, নির্লোভী হতে হবে’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: নিজের করে খাওয়ার জায়গা নয় তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল করতে গেলে দলীয় অনুশাসন মেনে চলতে হবে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংগ্রামের দিকে তাকিয়ে তৃণমূল করতে হবে। হয় ঠিকাদারি করবেন, নাহলে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূল করতে গেলে নির্ভীক, নির্লোভী করতে হবে।
'দিল্লিতে সরকার গঠনের সূচনা করল এবারের ২১ জুলাই'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: এই লড়াই দিল্লির বুকে গণতান্ত্রিক, গঠনমূলক, মানুষের জন্য সরকার তৈরির সূচনা হল এই সভায়।
'২০১৯ সালে নয়া জেদ নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম'
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে প্রত্যাশিত ফলাফল না হওয়ার পর একুশে জুলাই হয়েছিল। বিধানসভা ভোট নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল। সেদিন জেদ নিয়ে মাঠে নেমেছিলাম যে তৃণমূল কর্মীদের মতোই হতে হবে নেতাদের। জান-প্রাণ নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জন্য লড়াই করবেন।
‘এবার রেকর্ড ভিড়, আগামীর পথ দেখাবে ২১ জুলাই’
অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়: রেকর্ড ভিড় হয়েছে এবারের সমাবেশে। সভাস্থলে যত মানুষ আছেন, তার ১০ গুণ বেশি মানুষ বাইরে আছেন। আগামীর পথ দেখাবে এবারের একুশে জুলাই।
‘ভাগ BJP ভাগ, ভাগ মোদী ভাগ’
২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে ফিরহাদ হাকিম এদিন বিজেপিকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে বলেন, ‘এই ধর্মতলায় দাঁড়িয়ে বিজেপি বলেছিল ভাগ মমতা ভাগ। তবে বাংলা প্রমাণ করে দিয়েছে মমতা আছে, থাকবে।' এরপর ফিরহাদ বলেন, 'ভাগ বিজেপি ভাগ, ভাগ মোদী ভাগ, ভাগ শুভেন্দু ভাগ!’
'তৃণমূল ১০টি রাজ্যে পৌঁছবে'
সৌগত রায় বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ নিয়ে কোনও চিন্তার কারণ নেই। এখানে তৃণমূলই জিতবে। দিল্লি থেকে মোটা এক নেতা এসে বলেছিলেন, অবকি বার ২০০ পার, তাঁর দল ১০০-ও পার করেনি। আমরা আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচনে জিতব, লোকসভাতেও জিতব। তবে আসল লড়াই বাকি। আগামীতে তৃণমূল কংগ্রেস অন্তত ১০টি রাজ্যে পৌঁছাবে।’
গঙ্গাপথে কলকাতায় তৃণমূল কর্মীরা
২১শে জুলাই শহিদ দিবস উপলক্ষে কলকাতা ধর্মতলার উদ্দেশে রওনা দিলেন গঙ্গাসাগরের তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা। এদিন সকালে গঙ্গাসাগরের কচুবেড়িয়া ভেসেল ঘাট থেকে কয়েক হাজার তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী সমর্থকরা কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিলেন।
হাওড়া-শিয়ালদায় ভিড়
একুশে জুলাইয়ের সমাবেশের জন্য বিভিন্ন জায়গা থেকে কলকাতায় আসছেন তৃণমূল সমর্থকরা। জেলা থেকে আগত সেই তৃণমূল সমর্থকদের ভিড় আছড়ে পড়েছে হাওড়া এবং শিয়ালদা স্টেশনে।
‘২১শে জুলাই বাংলার ইতিহাসে এক পবিত্র দিন’
টুইট বার্তায় অভিষেক লেখেন, ‘২১শে জুলাই বাংলার ইতিহাসে এক পবিত্র দিন! ১৯৯৩ সালে পুলিশের বর্বরতার কারণে প্রাণ হারান ১৩ জন। সেই শহিদের প্রতি আমি আন্তরিক শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। এই শহিদ দিবস আমাদের কণ্ঠ আরও তীব্র হোক - আমরা কোনও শক্তির কাছে নত হব না! মানুষের জন্য, আমরা আমাদের সব দেব।’
কলকাতায় মানেকা–বরুণ গান্ধী
কলকাতায় পা রাখলেন মানেকা–বরুণ গান্ধী। বিজেপি সাংসদরা আজ ২১-এর মঞ্চে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিতে পারেন জোর জল্পনা শুরু হয়েছে।
কলম ধরলেন মমতা
তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপত্র ‘জাগো বাংলা’ পত্রিকায় বিশেষ কলম লিখেছেন স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে শহিদ দিবসের তাৎপর্য থেকে শুরু করে বাংলার বিরুদ্ধে চক্রান্ত সবই তুলে ধরেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বিস্তারিত পড়ুন
চাঞ্চল্যকর দাবি মদনের
১৯৯৩ সালে কার নির্দেশে পুলিশ যুব কংগ্রেস কর্মীদের উপর গুলি চালিয়েছিল, সেই প্রশ্নের জবাব আজও মেলেনি। এই নিয়ে চাঞ্চল্যকর দাবি করলেন তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। বিস্তারিত পড়ুন
ধর্মতলায় যাওয়ার রাস্তায় গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ
শিয়ালদামুখী ট্রেনগুলিতে উপচে পড়ছে ভিড়। ট্রেন থেকে নেমে হেঁটেই ধর্মতলা যাচ্ছেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। এই আবহে শিয়ালদহ-মৌলালি-এসএন ব্যানার্জি থেকে ধর্মতলায় যাওয়ার রাস্তায় গাড়ি চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
মমতার বাসভবনে বৈঠকের ডাক
বৃহস্পতিবার ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের পর বিকেল ৪টে নাগাদ কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবনে বৈঠক ডাকা হয়েছে। যেখানে লোকসভা–রাজ্যসভার সব সাংসদরা উপস্থিত থাকবেন। গুরুত্বপূর্ণ এই বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
ভিন রাজ্যে ২১ জুলাই
উত্তরপ্রদেশে লখনউ, মির্জাপুর, বেনারস, আজমগড়,বরেলিতে পালিত হবে ২১ জুলাই। ত্রিপুরার আগরতলায় হবে শহীদ দিবস পালন। কৈলাশহর, ধর্মনগর, উদয়পুর, আমবাসা, আগরতলা শহরে জায়ান্ট স্ক্রিনে শোনানো হবে বক্তৃতা। অসম, মেঘালয়েও শোনানো হবে বক্তৃতা। গুয়াহাটি আর শিলচরে পালিত হবে ২১ জুলাই। বিহার, ঝাড়খন্ডেও পালিত হতে চলেছে ২১ জুলাই।
বিনা টিকিটেই ট্রেন যাত্রা শ'য়ে শ'য়ে তৃণমূল কর্মীর
বিনা টিকিটেই নাকি শ’য়ে শ’য়ে যাত্রী উঠে পড়েছেন ট্রেনে। ২১ জুলাই সভায় যেতে নাকি ট্রেনের টিকিট লাগে না। শুধু দলের দেওয়া ব্যাজই ‘ফ্রি পাস’!
ডোরিনা ক্রসিংয়ে সাপের খেলা
এদিন শহরের রাজপথে দেখা গেল, সাপুড়ে সেজে–বাঁশি বাজিয়ে ডোরিনা ক্রসিংয়ে সাপের খেলা। এই খেলা দেখালেন ঘাসফুল আঁকা পোশাক পরে আসা এক তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী। নকল সাপের গায়ে রয়েছে মোদীর ছবি।
কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে মহানগরীকে
২১ জুলাইয়ের সমাবেশের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকছেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদার ৩০ জন অফিসার, ৭০ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদার অফিসার এবং ১৫০ জন ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার অফিসার। তাছাড়া ৭৫০ জন পুলিশ কর্মী থাকছেন বিভিন্ন রাস্তায়। এছাড়া অতিরিক্ত ১ হাজার ট্রাফিক পুলিশ কর্মীকেও নিরাপত্তার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। হাওড়া ব্রিজ, শিয়ালদহ, কলকাতা স্টেশন, গিরিশ পার্ক, হাজরা মোড়, শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে থাকবে পুলিশের টিম।
২০ লক্ষ মানুষের সমাগম
সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, এবার ২০ লক্ষ দলীয় কর্মী-সমর্থক যোগ দেবেন ২১ জুলাইয়ের সভায়।
মমতার ‘বড় বার্তা’র অপেক্ষায় তৃণমূল কর্মীরা
আগামী বছরে রাজ্যে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এরপরের বছর ২০২৪-এই অনুষ্ঠিত হবে লোকসভা নির্বাচন। তার আগে এই বছরের ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মী-সমর্থকদের উদ্দেশে বড় কোনও বার্তা দিতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্যের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা।
মঞ্চে ৫০০ জনের বসার ব্যবস্থা
ত্রিস্তরীয় মঞ্চ তৈরি হয়েছে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ উপলক্ষে। মঞ্চে ৫০০ জনের বসার ব্যবস্থা থাকছে। শহিদ সভার মঞ্চে টলিউডের একঝাঁক তারকাকে দেখা যাবে।
মিছিলের জন্য নির্দিষ্ট রুট
উত্তর কলকাতার শ্যামবাজার, দক্ষিণের হাজরা মোড়-সহ শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মিছিল ধর্মতলার দিকে এগোতে শুরু করবে বেলা গড়াতেই। তাই শহরের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে, মিছিলের জন্য নির্দিষ্ট ৮টি রুট নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে পুলিশের তরফে।
‘২১ মানেই আন্দোলন’
তৃণমূল কংগ্রেসের ফেসবুক পেজে ভিডিয়ো বার্তা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘এই দিনটিকে ঘিরে তৃণমূল কংগ্রেসের আবেগ জড়িয়ে রয়েছে। প্রতি বছর এই মঞ্চ থেকে শহিদদের তর্পণ করা হয়। প্রত্যেক বছর জুলাই মাসে আবহাওয়া খারাপ থাকে। ঝড়–বৃষ্টি হয়। তাই নিয়েই লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের চেষ্টায় কলকাতায় আসেন। এই সমাবেশে যোগ দেন। তাই দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসনকে সহযোগিতা করবেন। সব ক্ষেত্রের মানুষকে বলছি আসুন, এসে প্রত্যক্ষ করুন ২১ জুলাই। ২১ মানেই আন্দোলন, ২১ মানেই ভাষা, ২১ মানেই দিশা।’
কোথা কোথায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত?
কলেজ স্ট্রিটে দক্ষিণ থেকে উত্তর, বি বি গাঙ্গুলি স্ট্রিটে পূর্ব থেকে পশ্চিম, আমহার্স্ট স্ট্রিটে উত্তর থেকে দক্ষিণ, বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটে দক্ষিণ থেকে উত্তর যান চলাচল করবে। ব্রেবোর্ন রোডে উত্তর থেকে দক্ষিণ, বিধান সরণিতে দক্ষিণ থেকে উত্তর, স্ট্র্যান্ড রোডে দক্ষিণ থেকে উত্তরে যান চলাচল করবে ২১ জুলাইয়ের সমাবেশের জন্য। এদিকে বি কে পাল অ্যাভিনিউ থেকে লালবাজার পর্যন্ত রবীন্দ্র সরণিতে দক্ষিণ থেকে উত্তর, সিআইটি রোডে পশ্চিম থেকে পূর্বে যান চলাচল করবে আজ।
যান চলাচল নিয়ন্ত্রিত করা হবে
ধর্মতলায় তৃণমূলের শহিদ দিবসের অনুষ্ঠানের জন্য বৃহস্পতিবার কলকাতার একাধিক রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। বেলা ১২ টা থেকে সভা শুরু হলেও সকাল থেকেই মিছিল করে তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা আসবেন। সভা শেষে বাড়ি ফিরবেন। সেজন্য কলকাতার একাধিক রাস্তায় ১৭ ঘণ্টা গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ভোর চারটে থেকে রাত ন'টা পর্যন্ত গাড়ি চালাচল নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বন্ধ একাধিক স্কুল
একুশে জুলাইয়ের জন্য কলকাতার একাধিক বেসরকারি স্কুলে ছুটির ঘোষণা করা হল। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, পড়ুয়াদের যাতায়াতে অসুবিধা হতে পারে। সেজন্য বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) স্কুল বন্ধ রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে সেই ক্লাস করানো হবে।