করোনার বাড়বাড়ন্তের সময় অধিকাংশ চিকিৎসকদের ব্যক্তিগত চেম্বার বন্ধ ছিল। তাই সেই সময় প্রত্যন্ত অঞ্চলে মানুষের কাছে চিকিৎসা পরিষেবা পৌঁছে দিতে টেলিমেডিসিন চালু করেছিল রাজ্য। তাতে ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া মিলেছে। টেলিমেডিসিন পরিষেবার ক্ষেত্রে গোটা দেশের মধ্যে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করেছে পশ্চিমবঙ্গ। প্রথমে দিকে যখন টেলি-মেডিসিন পরিষেবা চালু করা হয়েছিল তখন ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, রক্তচাপ প্রভৃতি রোগের চিকিৎসা চালু করা হয়েছিল। সম্প্রতি স্ট্রোকের চিকিৎসাও শুরু হয়েছে এই টেলিমেডিসিনে। এবার স্ট্রোকের চিকিৎসাকে আরও বেশি সংখ্যক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে ২৯ টি হাসপাতালকে যুক্ত করা হল।
স্ট্রোকে আক্রান্ত হওয়ার চার ঘণ্টার মধ্যেই পরিষেবা পৌঁছলে প্রাণহানি এড়ানো অনেকটাই সম্ভব হয়। সেই কারণে টেলিমেডিসিনে স্ট্রোকের চিকিৎসা যুক্ত করা হয়েছে। এতদিন বাঙুর ইনস্টিটিউট অব নিউরোসায়েন্সে (বিআইএন) টেলিমেডিসিনে স্ট্রোকের চিকিৎসায় প্রধান কেন্দ্র ছিল। এবার তার সঙ্গে আরও ২৯ টি শাখা হাসপাতালকে যুক্ত হওয়ার ফলে স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীদের আরও ভালোভাবে চিকিৎসা দেওয়া যাবে বলে মনে করছে স্বাস্থ্য দফতর। প্রসঙ্গত, টেলিমেডিসিনের স্ট্রোকে পরিষেবা দেবার জন্য যে প্রকল্প চালু করা হয়েছিল তার নাম ‘স্বাস্থ্য ইঙ্গিত’। প্রথমে বিআইএনের সঙ্গে ১১ টি জেলা হাসপাতাল এবং একটি মেডিক্যাল কলেজকে যোগ করা হয়েছিল। এবার মহকুমা স্তর থেকে শুরু করে জেলা, মেডিক্যাল কলেজ সবমিলিয়ে আরও ২৯ টি হাসপাতাল যোগ হওয়ার ফলে এই প্রকল্পের আওতায় আরও বেশি সংখ্যক মানুষকে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলে মনে করছে রাজ্য সরকার। শুক্রবার স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই মর্মে নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। জানা গিয়েছে, নতুন হাসপাতালের একজন নোডাল অফিসার, তিনজন মেডিক্যাল অফিসারের পাশাপাশি দুজন সিটিস্ক্যান টেকনিশিয়ান থাকবেন।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ২ আগস্ট রাজ্যে সুস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে টেলি-মেডিসিন পরিষেবা চালু হয়। এই পরিষেবার মাধ্যমে এখনও পর্যন্ত ৩৪ লক্ষ ৯১ হাজার ৯৪২ জন ওই চিকিৎসার সুবিধা পেয়েছেন। এই পরিষেবা সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ৭০০-র বেশি চিকিৎসক।