ভোটের ফলাফল বেরিয়েছে। প্রত্য়াশার ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি বিজেপি। এনিয়ে হতাশা গ্রাস করেছে গেরুয়া শিবিরকে। পরিস্থিতির আরও কতটা অবনতি হতে পারে সেটা বোঝা যাচ্ছে না। তার মধ্য়েই এবার বিজেপির রক্তচাপ আরও বাড়িয়ে দিলেন তৃণমূল সাংসদ সাকেত গোখলে। তিনি এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, এখন বিজেপির সাংসদ ২৪০। ইন্ডিয়ার সাংসদ সংখ্য়া ২৩৭। তিনজন এলে বিজেপি হয়ে যাবে….। আর ইন্ডিয়া হয়ে যাবে ২৪০।
সাকেত লিখেছেন, তিনজন বিজেপি সাংসদ বাংলার আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। এবার একটা শীঘ্রই ভালো চমক আসছে। মোদীর অস্থায়ী কাঠাবো বেশি দিন টিকবে না।
তবে কোন তিনজন বিজেপি এমপি যোগাযোগ রাখছেন তা তিনি লেখেননি। তবে এসবের মধ্য়েই বিজেপির অন্দরে টেনশন ক্রমশ বাড়ছে। কারণ ভোটে জিতে যাওয়ার পরে বিজেপির বিধায়কদের মধ্য়ে কয়েকজন অতীতে তৃণমূলে গিয়েছে এমন অনেক নজির রয়েছে। এবার যদি এমপিও চলে যায় তাহলে তো আরও ফাঁকা হয়ে যাবে বিজেপি।
একে তো ভোটের খারাপ ফলাফলের পর থেকে বিজেপির অন্দরে নানা কথা উঠছে। খোদ বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষই দলের একাংশের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছেন। আবার এমপি হওয়ার পরেই সৌমিত্র খাঁ বলতে শুরু করেছিলেন তাঁর মন্ত্রী হওয়ার ইচ্ছার কথা। এসবের মধ্য়ে আবার নতুন চমকের কথা বলছেন সাকেত গোখলে।
তবে বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য় তৃণমূলের এই দাবিকে প্রকাশ্য়ে মানতে চাইছে না। তবে এর আগে বাবুল সুপ্রিয় ও অর্জুন সিংহও বিজেপির টিকিটে জয়ী হয়ে তৃণমূলে চলে গিয়েছিলেন। আবার যদি সেই অবস্থা হয় তবে তো সমস্যা বাড়বে।
এদিকে ভোটে পরাজিত হওয়ার পরে খোদ দিলীপ ঘোষই মুখ খুলেছিলেন। দিলীপ ঘোষ প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘বর্ষীয়ান এবং প্রতিষ্ঠিত নেতাদের কি পরাজিত করার জন্যই পাঠানো হয়েছিল? রাজনৈতিক দলগুলি সাধারণত যে আসনগুলি আগে হেরেছিল সেগুলি জিততে পরিকল্পনা করে। কিন্তু এখানে মনে হচ্ছে আমরা যে আসনগুলি আগে জিতেছিলাম সেগুলি হারানোর একটি ইচ্ছাকৃত পরিকল্পনা ছিল।’
ক্ষুব্ধ সৌমিত্র খাঁ। তিনি বলেছিলেন, ২৫ জন নেতার মূল কমিটিতে তাঁর মতো ‘যোদ্ধাদের’ জন্য কোনও স্থান নেই। তাঁর মতে ‘কমিটি অযোগ্য লোকদের দিয়ে ভরা ছিল। আমাদের এমন নেতাদের প্রয়োজন যারা লড়াই করতে পারে এবং যারা কৌশল নির্ধারণ করতে পারে।’
আবার বিজেপির কৃষ্ণনগরের প্রার্থী অমৃতা রায় বলেছেন, দলের পশ্চিমবঙ্গ ইউনিটে অনেক অসঙ্গতি রয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি দলের মধ্যে অনেক দ্বন্দ্ব দেখেছি। যদি এটি চলতে থাকে, তা আমাদের ভবিষ্যতে ক্ষতি করবে। আমি শুনেছি যে প্রচারের জন্য অনেক তহবিল এসেছে, কিন্তু আমি সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিলাম। আমি অপমানিত বোধ করেছি।’