দ্বিতীয় হুগলি সেতুতে লরির ধাক্কায় মৃত্যু হল মোটরসাইকেল আরোহীর। এক রাতে শহরে পথদুর্ঘটনার বলি হলেন ৩ জন। বিধিনিষেধের মধ্যেও বেপরোয়া গাড়ি চালানোর প্রবণতা যে কমেনি তার প্রমাণ মিলল শনিবার রাতে।
শনিবার রাত ১০.৪৫ মিনিট নাগাদ দ্বিতীয় হুগলি সেতুর কলকাতামুখি লেনে একটি মোরসাইকেলে পিছন থেকে ধাক্কা মারে একটি পণ্যবোঝাই লরি। লরির ধাক্কা সামনে ছিটকে পড়েন মোটরসাইকেল আরোহী। অভিঘাতে তাঁর হেলমেট টুকরো টুকরো হয়ে যায়। উদ্ধার করে SSKM হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। মৃতের পরিচয় জানা যায়নি। লরিটিকে আটক করেছে পুলিশ।
এর কিছুক্ষণ পরেই রাত ১১টা নাগাদ চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ ও বিপ্লবী বিপিন বিহারী গঙ্গোপাধ্যায় সরণির সংযোগস্থলে একটি স্কুটারকে ধাক্কা দেয় একটি লরি। তাতে স্নেহাশিস ঘোষ (২২) নামে বরাহনগরের বাসিন্দা এক যুবকের মৃত্যু হয়। লরিটিকে আটক করেছে পুলিশ।
ভোর রাতে কড়েয়ার সার্কাস অ্যাভিনিউয়ে এক বৃদ্ধকে ধাক্কা মারে একটি গাড়ি। বৃদ্ধের পরিচয় জানা যায়নি। ঘাতক গাড়িটিও পলাতক। সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে সেটিকে চিহ্নিত করার চেষ্টা চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা।
করোনা সংক্রমণ রোধে যান চলাচলে বিধিনিষেধ শিথিল হতেই কলকাতায় ঘটছে একের পর এক দুর্ঘটনা। যাতে চিন্তিত কলকাতা পুলিশের শীর্ষকর্তারা। যানের গতি নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপের চিন্তাভাবনা করছেন তাঁরা।