কলকাতার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে বিষাক্ত স্যালাইনকাণ্ডে গুরুতর অসুস্থ তিন প্রসূতি। এই অবস্থায় রবিবার রাতেই তিনজনকে এসএসকেএম হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। যার মধ্যে একজনের অবস্থা খুবই গুরুতর। তাঁকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বাকি দুজনকে রাখা হয়েছে ভেন্টিলেশনে। এদের কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন: স্যালাইন কাণ্ডে বড় মোড়! মারাত্মক অসুস্থ তিন প্রসূতি, কলকাতায় আনার চেষ্টা, সোমে রিপোর্ট
জানা গিয়েছে, রবিবার রাত ১০টা নাগাদ তাদের গ্রিন করিডর করে মেদিনীপুর হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসা হয় এসএসকেএমে। কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় এই তিনজনের ডায়ালিসিসের প্রয়োজন ছিল। সেই কারণে তাদের তড়িঘড়ি এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে এসে চিকিৎসা শুরু করা হয়। চিকিৎসার দায়িত্বে রয়েছে পাঁচ সদস্যের একটি মেডিক্যাল বোর্ড। ৬ ঘণ্টা এই তিনজনের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, বুধবার মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে সি বিভাগে ভর্তি থাকা পাঁচ প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। সেই ঘটনার দুই দিন পর মামনি রুইদাস (২২) নামে এক প্রসূতি মারা যান। এরমধ্যে একজনের শারীরিক অবস্থা ভালো থাকলেও তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। পরিবারগুলি অভিযোগ করেছে, যে তাদের দেওয়ার পর অবস্থার অবনতি হয়।
জানা যায়, অসুস্থ প্রসূতিদের কিডনি মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারফলে তাদের ডায়ালিসিসের প্রয়োজন ছিল। পরিবারের অভিযোগ, মেদিনীপুর মেডিক্যালে অসুস্থ সকল প্রসূতিকে সন্তান প্রসবের পর এই স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণেই তারা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।এই অভিযোগ সামনে আসতেই ঘটনার তদন্তের জন্য ১৩ সদস্যের একটি একটি কমিটি গঠন করেছে স্বাস্থ্য দফতর।
ইতিমধ্যেই সেই কমিটির সদস্যরা মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন করেছে। এক সদস্য জানান, ‘স্যালাইনের ফলেই এমনটা ঘটেছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। তবে আমার অন্যান্য সম্ভাব্য কারণগুলির দিকে নজর দিচ্ছি।’ তিনি জানান, একই স্যালাইন অন্যান্য বিভাগে ভর্তি থাকা রোগীদেরও দেওয়া হয়েছে। তবে তারফলে কোনও মৃত্যু বা অসুস্থ হওয়ার ঘটনা ঘটেনি। ফলে প্রসূতিদের ক্ষেত্রে কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সদস্যরা জানিয়েছেন, তারা আইভি ফ্লুইডের ব্যাচের ওষুধ বিশ্লেষণ রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করবেন। এতে প্রায় দুই সপ্তাহ সময় লাগতে পারে।