করোনা রোগীর গয়না চুরি করতে গিয়ে মেডিক্যাল কলেজে হাতেনাতে ধরা পড়ল ৩ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। বউবাজার থানা তাদের আটক করেছে। বৃহস্পতিবার PPE পরে তারা এক মহিলা করোনা রোগীর গয়না চুরির চেষ্টা করে বলে অভিযোগ। ওয়ার্ডের নার্সদের তৎপরতায় তারা কাজ হাসিল করতে পারেনি। পরে থানায় ডায়েরি করলে হাসপাতালেরই ৩ জন চতুর্থ শ্রেণির কর্মীকে আটক করে নিয়ে যান বহুবাজার থানার পুলিশকর্মীরা।
মেডিক্যাল কলেজে করোনা হাসপাতাল চালু হওয়ার পর থেকেই সেখানে রোগীদের মোবাইল ফোন চুরি যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছিল। এমনকী মৃত রোগীদের মোবাইল ফোন গায়েব হয়ে যাওয়ারও একাধিক অভিযোগ রয়েছে। আর অভিযোগের তির হাসপাতালের কর্মীদেরই একাংশের দিকে।।
অভিযোগ যে অক্ষরে অক্ষরে সত্য তার প্রমাণ মিলল বৃহস্পতিবার। এদিন দুপুরে PPE পরে ২ জন ব্যক্তি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের সুপার স্পেশ্যালিটি বিল্ডিংয়ের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ঢুকে পড়ে। ফিমেল ওয়ার্ডে পুরুষ কর্মী দেখেই সন্দেহ হয় নার্সদের। ওয়ার্ডের এক মহিলা করোনা রোগীকে তাঁরা খাবার দিয়ে বলেন, বাড়ির লোক খাবার পাঠিয়েছে। আর বলেছে, গায়ের গয়না সব খুলে দিতে।
দুই ব্যক্তির কথোপকথন শুনে নার্সদের সন্দেহ আরও তীব্র হয়। তাঁরা পরিচয় জিজ্ঞাসা করেন। জানতে চান, কী করে মহিলা বিভাগে ঢুকল তারা? কে ঢুকতে দিল? ধরা পড়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে বুঝে ওয়ার্ড থেকে পালানোর চেষ্টা করে ২ ‘চোর’। পিছন পিছন ধাওয়া করেন নার্সরা কিন্তু তাঁরা নাগাল পাননি চোরের।
এর পর বউবাজার থানায় অভিযোগ দায়ের করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তদন্তে নেমে পুলিশ আধিকারিকরা জানতে পারেন, ২ চোর হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক চতুর্থ শ্রেণির কর্মী। তাদের সাহায্য করার অভিযোগ রয়েছে হাসপাতালের আরও ১ কর্মীর বিরুদ্ধে। এর পর তিন জনকে আটক করে পুলিশ।
হাসপাতালের সুপার যদিও জানিয়েছেন, এব্যাপারে কোনও লিখিত অভিযোগ পাননি তাঁরা।