হেরিটেজ সামগ্রী এবং গাছ চুরি সংক্রান্ত মামলার জেরে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তৃণমূল কংগ্রেসের এক কর্মচারী, নেতা সহ তিন কর্মীকে সাসপেন্ড করেছে। এই ঘটনা পরে অশান্তির আশঙ্কায় নিরাপত্তার জন্য পুলিশ ডাকলেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এরপরে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিটি রোড ক্যাম্পাসে পুলিশের পাহারা বসে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে পুলিশ থাকাকে সমর্থন করেননি। আজ শনিবার থেকে ক্যাম্পাসে পুলিশ থাকবে না বলে তিনি জানিয়েছেন।
যে তিনজনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে তারা হলেন, রবীন্দ্রভারতীর কর্মচারী নেতা সুবোধ দত্ত চৌধুরী, শিক্ষা কর্মী দেবপ্রসাদ ঘোষ এবং রাজকুমার ঝা নামে এক কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম ২ জনকে সাসপেন্ড করা হয়েছে হেরিটেজ সামগ্রী ধ্বংস এবং গাছ চুরি সংক্রান্ত মামলার ভিত্তিতে। রাজকুমার ঝা-কে সাসপেন্ড করা হয়েছে এক শিক্ষা কর্মীকে জাতিগত অপমান এবং মারধরের কারণে। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সাসপেনশন চলাকালীন তারা কোনওভাবেই ক্যাম্পাসের ভিতরে ঢুকতে পারবেনা। তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতা বিশ্বজিৎ দে-কেও ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা সুবোধ এবং বিশ্বজিৎ এরা দুজনে প্রভাবশালী। সাসপেন্ড হওয়ার পরও অবশ্য তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছিলেন। তাঁদের একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মসমিতির সিদ্ধান্তে চিঠি পেলেও আর বাকিরা চিঠি পায়নি বলেই দাবি করেছেন। বিশ্বজিৎ এবং সুবোধ তাঁরা দুজনেই জানিয়েছেন তাঁরা চিঠি পাননি। এই সাসপেন্ডের প্রতিবাদে শুক্রবার তৃণমূল ছাত্র পরিষদের পক্ষ থেকে রবীন্দ্রভারতীতে মিছিল বার করা হয়। যদিও শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসু এ বিষয়ে কিছু বলতে চাননি।