বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেফতারির তদন্তে নেমে কলকাতায় বিশাল মানবপাচারচক্রের পর্দাফাঁস করল পুলিশ। জানা গিয়েছে, বাংলাদেশি ওই যুবকদের ভারতে অনুপ্রবেশ করিয়ে জাল নথি তৈরি করে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পাচার করা হত।
রবিবার আনন্দপুর থানা এলাকার গুলশন কলোনিতে লখনউ পুলিশের অভিযানের পর গোটা চক্রের খবর প্রকাশ্যে আসে। এই নিয়ে তৃণমূলকে বিঁধেছে বিজেপি।
রবিবার আনন্দপুরের গুলশন কলোনিতে মফিজুর রহমান নামে এক মানবপাচারকারীকে গ্রেফতার করতে আগে লখনউ পুলিশের ATS. তল্লাশি চালানোর সময় স্থানীয় একটি মাদ্রাসা থেকে ২১ জন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীর খোঁজ পায় তারা। তাদের গ্রেফতার করে সঙ্গে থাকা কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা। রবিবার তাদের আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেয় পুলিশ। তাদের জেরা করে আরও ১৭ জনের খোঁজ মেলে। তাদেরও গ্রেফতার করেছে আনন্দপুর থানার পুলিশ।
গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, বাংলাদেশি যুবকদের বিদেশে পাঠানোর একটি চক্র চালায় মফিজুর। অবৈধভাবে সীমান্ত পার করিয়ে বাংলাদেশি যুবকদের রেখে দেয় কলকাতায়। তার পর তাদের ভুয়ো পাসপোর্ট ও অন্যান্য নথি বানিয়ে মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপে পাঠিয়ে দেয় সে। এজন্য জনপিছু ২ – ৩ লক্ষ টাকা করে নিত মফিজুর।
তবে লখনউ পুলিশের অভিযানের পর এই চক্রের খবর প্রকাশ্যে আসায় কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা তৎপরতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। শহরের মধ্যে এত বড় মানবপাচারচক্র চললেও তার খবর কেন গোয়েন্দাদের কাছে ছিল না সে প্রশ্ন উঠছে। এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশের দক্ষতাকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ তৃণমূলকে আক্রমণ করে বলেন, ‘রোহিঙ্গা, বাংলাদেশিদের দিয়ে ভোটে জেতার চেষ্টা।’