এই মামলায় বাগ কমিটির আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন, নম্বর বাড়িয়ে এবং ওএমআর সিটে গণ্ডগোল করে নিয়োগ করা হয়েছে। মামলাকারী আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্যের দাবি, বাগ কমিটির রিপোর্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে, বড় দুর্নীতি হয়েছে এই নিয়োগে।
আবার ভুয়ো নিয়োগের অভিযোগ। স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) গ্রুপ–সি এবং গ্রুপ–ডি নিয়োগ মামলায় গঠন করা হয়েছিল বাগ কমিটি। আজ, শুক্রবার সেই কমিটি রিপোর্ট পেশ করল কলকাতা হাইকোর্টে। এদিন হাইকোর্টে রিপোর্ট পেশ করে কমিটির আইনজীবী জানান, গ্রুপ সি–তে ৩৮১ জনকে ভুয়ো নিয়োগ করা হয়েছে।
ঠিক কী বক্তব্য বাগ কমিটির? এদিন তাঁদের জমা দেওয়া রিপোর্টে বিভাগীয় তদন্তের সুপারিশ করা হয়েছে। আর এই কমিটি একটি তালিকা জমা দিয়ে তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআরের সুপারিশ করেছে। আজ, কলকাতা হাইকোর্টে বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি আনন্দ কুমার মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে বাগ কমিটির রিপোর্ট পেশ করেন আইনজীবী অরুণাভ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি জানান, স্কুল সার্ভিস কমিশন ৩৮১ জনকে ভুয়ো নিয়োগ করেছে। এমনকী তার মধ্যে ২২২ জন পরীক্ষাই দেননি। আর বাকিরা পাশ করতে পারেননি।
এসএসসি নিয়ে আদালত কী বলল? আজ, এই রিপোর্ট জমা পড়ার পর এসএসসি নিয়োগ মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ বজায় রাখল ডিভিশন বেঞ্চ। এই মামলার ১৮ মে রায় ঘোষণা হবে। এদিনের শুনানিতে রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় বলেন, একক বেঞ্চ পুলিশের উপর আস্থা রাখছে। আবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। পুলিশকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তারা পারেনি এমন তো ঘটেনি। বিভাগীয় বা অপরাধ হোক পুলিশ এই তদন্ত করতেই পারে।