বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > H3N2 virus: কলকাতায় জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে ৪০–৭০ শতাংশ এইচ৩এন২ পজিটিভ

H3N2 virus: কলকাতায় জ্বরে আক্রান্তদের মধ্যে ৪০–৭০ শতাংশ এইচ৩এন২ পজিটিভ

এইচ৩এন২ ভাইরাসে আক্রান্ত বাড়ছে। প্রতীকী ছবি (HT_PRINT)

এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত কয়েকদিনের দিনে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও এরাজ্যে এখনও পর্যন্ত এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই জানাচ্ছে স্বাস্থ্য দফতর। তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, সারা শরীরজুড়ে যন্ত্রনা, নাক দিয়ে জল ঝরা এই সমস্ত এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ। 

অ্যাডিনোভাইরাসের মধ্যেই দেশজুড়ে বাড়ছে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ বা এইচ৩এন২ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মানুষের প্রাণহানিরও খবর পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যেই এ নিয়ে সমস্ত রাজ্যকে সতর্ক করেছে কেন্দ্র। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দু’মাসে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা আরও ভয়াবহ আকার নিয়েছে। ১০ জনের মধ্যে ছয় শিশু এই ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছেন। শিশুদের পাশাপাশি বয়স্করাও এই ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, শিশুদের এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ বেড়েছে। অন্যদিকে, কলকাতায় আক্রান্তদের ৪০ থেকে ৭০ শতাংশ রিপোর্ট ইনফ্লুয়েঞ্জা এ পজিটিভ।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত কয়েকদিনে দেশে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যদিও এ রাজ্যে এখনও পর্যন্ত এই ধরনের কোনও ঘটনা ঘটেনি বলেই দাবি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। তীব্র জ্বর, মাথাব্যথা, সারা শরীরজুড়ে যন্ত্রণা, নাক দিয়ে জল পড়ার মতো বিষয় এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ। গত দুই মাস ধরে বিভিন্ন হাসপাতালে শিশুরা এই ধরনের লক্ষণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, ১০ দিনের জন্য এই ভাইরাস শরীরে বাসা বাঁধে। জ্বর, কাশির সঙ্গে হালকা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যাও দেখা দিতে পারে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে এখন ব্যাপক আকার ধারণ করেছে ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাস। পিয়ারলেস হাসপাতালের মাইক্রোবায়োলজিস্ট ভাস্কর নারায়ণ চৌধুরী বলেন, জ্বর, সর্দি, কাশি নিয়ে যাঁরা আসছেন, তাঁদের বেশিরভাগই ইনফ্লুয়েঞ্জা এ ভাইরাসে আক্রান্ত।

তিনি জানান, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ কেস এই সময় তুলনামূলকভাবে বেশি এবং যাঁরা পজিটিভ হচ্ছেন, তাঁদের প্রায় ৮০ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক। যদিও এই বছর কোনও এইচ১এন১ ভাইরাসে কোনও আক্রান্ত পাওয়া যায়নি, তবে দুটি ইনফ্লুয়েঞ্জা বি আক্রান্তের সংখ্যা পাওয়া গিয়েছে। আরটিআইআইসিএস–এর মাইক্রোবায়োলজিস্ট স্বাতীলেখা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ পজিটিভের সংখ্যা বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে ৫৪ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল যার মধ্যে ১১টি ইনফ্লুয়েঞ্জা এ পজিটিভ ছিল। মার্চের প্রথম ১০ দিনে ৪৩ টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিল, যার মধ্যে ১৬টি ইনফ্লুয়েঞ্জা এ পজিটিভ।

এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup

বন্ধ করুন