BENGAL : একদিনে ৪৮টি নয়া কেস। এর জেরে রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৬৯৭, জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এর মধ্যে সুস্থ হয়ে উঠেছেন মাত্র ১০৯জন। সরকারি খাতায় মৃত ২০। গত এক সপ্তাহে রাজ্যে দ্বিগুনের বেশি হয়েছে নয়া করোনা রোগীর সংখ্যা। তবে রাজ্যের ২৩টি জেলার মধ্যে কেবল চারটি হটস্পট, বলে জানিয়েছেন মুখ্যসচিব।
রাজ্যের হিসাবে চারটি হটস্পটের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুর, উত্তর ২৪ পরগণা ও হাওড়ায় পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয়েছে। কিন্তু পরিস্থিতি রীতিমত উদ্বেগজনক কলকাতায়। রাজ্যের ৮০ শতাংশ রোগীই কলকাতায় অবস্থিত বলেও জানিয়েছে রাজ্য সরকার।
অরেঞ্জ জোনে থাকা এগারোটি জেলা হল- দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হুগলি, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর, পশ্চিম বর্ধমান, কালিম্পং, নদিয়া, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, মুর্শিদাবাদ ও মালদা।
গ্রিন জোনে থাকা আটটি জেলা হল-আলিপুরদুয়ার, কুচবিহার, উত্তর দিনাজপুর, দক্ষিণ দিনাজপুর, বীরভূম, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম ও পুরুলিয়া।
কলকাতায় মোট ২২৭টি কনটেনমেন্ট জোন আছে। এর মধ্যে ১৮টি তে গত দুই সপ্তাহে কোনও নতুন কেস পাওয়া যায় নি। গত দুই সপ্তাহে নয়া কেস নেই হাওড়ার ৫৬টির মধ্যে ১৩টি কনটেনমেন্ট জোনে, উত্তর ২৪ পরগণার ৫৭টির মধ্যে ১৩টি কনটেনমেন্ট জোনে। পূর্ব মেদিনীপুরের আটটির মধ্যে পাঁচটি কনটেনমেন্ট জোন গত দুই সপ্তাহ ধরে করোনা মুক্ত।
এই মুহূর্তে দেশে নয়টি রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের ওপর। কেবন মহারাষ্ট্রেই আক্রান্ত ৮৫৯০। দেশে ক্রমতালিকায় দশম স্থানে পশ্চিমবঙ্গ। কিন্তু যেভাবে দ্বিগুণ হচ্ছে আক্রান্তের সংখ্যা দেশে, তা যথেষ্ট চিন্তার।
দেশে লকডাউন তেসরা মে-র পর বৃদ্ধি করা হবে কি না, সেই নিয়ে জল্পনা চলছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদিও বলেই দিয়েছেন যে ২১-মে অবধি বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা চলবে রাজ্যে। তবে সেই নিয়ে বিষদে কিছু বলা হয়নি।