রাজ্য সরকারি কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের জন্য বড় পদক্ষেপ করল রাজ্য সরকার। সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পে এবার আরও সুবিধা পাবেন সরকারি এবং অবসরপ্রাপ্ত কর্মীরা। এতদিন স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় সরকারি কর্মী এবং অবসরপ্রাপ্ত পেনশন প্রাপকরা ১৭ টি বিভিন্ন রোগের চিকিৎসা করাতে পারছিলেন। এবার তার সঙ্গে আরও নতুন ৬টি রোগের চিকিৎসা এই স্বাস্থ্য প্রকল্পের আওতায় করাতে পারবেন সরকারি কর্মচারীরা। সে বিষয়ে অনুমোদন দিয়েছে রাজ্যের অর্থ দফতর।
আরও পড়ুন: দুর্নীতির ঘুঘুর বাসা সরকারি কর্মীদের মধ্যে, বৈঠকে চরম ক্ষুব্ধ হয়ে বিস্ফোরক মমতা
নতুন আরও যে ৬টি রোগের চিকিৎসার সুবিধা এই প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে স্কিৎজোফ্রেনিয়া, বাইপোলার এফেক্টিভ ডিসঅর্ডার, মেজর ডিফেক্টিভ ডিসঅর্ডার প্রভৃতি। রাজ্যের অর্থ দফতরের মেডিক্যাল সেলের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, সাইক্রিয়াটিকসে এমডি বা ডিপ্লোমাধারি কোনও চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন থাকলে সেক্ষেত্রে এই রোগের ওষুধের দাম পাওয়া যাবে। এর পাশাপাশি এই প্রকল্পে চিকিৎসার খরচও পাওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে সরকারি স্বাস্থ্য প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত গ্রাহকরা আউটডোরে চিকিৎসা করালে সেই খরচের বিল জমা দেবেন। তাহলে তারা টাকা পাবেন।
সাধারণত সরকারি কর্মী ছাড়া অবসরপ্রাপ্ত পেনশন প্রাপকরা সপরিবারে স্বাস্থ্য প্রকল্পের সুবিধা পেয়ে থাকেন। অর্থাৎ নতুন ৬টি যে রোগ তালিকাভুক্ত করা হয়েছে তাতে সরকারি কর্মীদের পরিবারের সকলেই এই সুবিধা পাবেন। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট টাকার উপর চিকিৎসার জন্য ক্যাশলেশের সুবিধাও পাওয়া যায় এই প্রকল্পে।
উল্লেখ্য, করোনার বারবাড়ন্ত শুরু হওয়ার পর ২০২২ সালে কোভিড ১৯-কে এই প্রকল্পে আউটডোর চিকিৎসার আওতায় আনা হয়। সম্প্রতি, কিডনি রোগের দ্বিতীয় পর্যায় থেকে আউটডোর চিকিৎসার সুবিধা দেওয়া হচ্ছে এই প্রকল্পে। আর এবার সেই তালিকায় জুড়ল আরও ৬টি রোগ। তার ফলে সুবিধা পাবেন সরকারি কর্মী ও তাঁদের পরিবার। রাজ্য সরকার এই পরিস্থিতির মধ্যেও কর্মীদের স্বার্থে যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাকে স্বাগত জানিয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন।