তিনি কথা দিয়েছিলেন। বৈষম্য দূর করে সমতা ফেরাবেন। কথা অনুযায়ী এবার কাজও হল। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুজোর মুখেই এল সুখবর। রাজ্য সরকারের বিভিন্ন ক্যাডারে একই পদের স্কেল বা বেতনক্রম ভিন্ন ভিন্ন বলে কর্মচারী সংগঠনগুলির মধ্যে ক্ষোভ ছিল। তাই সবদিক থেকে সমতা আনার সুপারিশ করে দ্বিতীয় দফার রিপোর্ট পেশ করেছে ষষ্ঠ বেতন কমিশন। আর এই সুপারিশে সিলমোহর পড়লেই সরাসরি লক্ষ্মীলাভ। সরকারি ও সরকারের অধীনস্থ সংস্থার কর্মীদের চাকরির শর্তাবলি খতিয়ে দেখে বিভিন্ন সংস্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। আশা করা হচ্ছে এই সুপারিশকে কার্যকর করবে সরকার।
নিয়োগের ক্ষেত্রে পরামর্শ দিয়ে কমিশন বলেছে, একই কাজে যোগ্যতামান ও নিয়োগের পদ্ধতি যাতে একরকম হয়, সেটা নিশ্চিত করতে হবে। যেসব দফতরের পদোন্নতির সুযোগ কম, সেখানেও সমতা আনার সুপারিশ করা হয়েছে।
শূন্যপদের বিষয়ে তিন বছর ধরে সরকারের সব দফতর এবং কর্মচারী সংগঠনগুলির সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছে কমিশন। আলোচনার ভিত্তিতেই সুপারিশ করা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকার বলেন, ‘বেতন কমিশনের দ্বিতীয় রিপোর্টের সুপারিশ সরকার খতিয়ে দেখবে। এই সুপারিশে কর্মীদের চাকরির শর্ত আরও মজবুত হবে।’
কনফেডারেশন অব স্টেট গভর্নমেন্টস এমপ্লয়িজ়ের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘সম–কাজে সম–বেতন, নিয়োগ পদ্ধতি এবং শূন্যপদ নিয়ে আমরা দাবি পেশ করেছিলাম। বাম আমলের পঞ্চম বেতন কমিশনের দ্বিতীয় রিপোর্ট বর্তমান সরকার রূপায়ণ করেনি। ষষ্ঠ বেতন কমিশনের দ্বিতীয় রিপোর্টে তা বাস্তবায়িত করার দাবি জানাচ্ছি।’