কয়লাঘাটা ভবনে অগ্নিকাণ্ডে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাল দমকল। নিহতদেক মধ্যে ৪ জন দমকলকর্মী। ২ জন আরপিএফের কর্মী ও ১ জন হেয়ার স্ট্রিট থানর ASI. নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেবে রাজ্য সরকার। রাত ১১.১৫ মিনিট নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্য়মন্ত্রীর আশঙ্কা মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে আরও ২ জনের।
জানা গিয়েছে, ৪টি দেহ উদ্ধার হয়েছে লিফট থেকে। আগুন লাগার পর সবার প্রথমে তারাই লিফটে করে ১২ তলায় উঠেছিলেন। লিফটের দরজা খুলতেই প্রচণ্ড উত্তাপে তাঁদের মৃত্যু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া মৃতদের মধ্যে একজন রেলের এক আধিকারিকের নিরাপত্তারক্ষী। একজনকে এখনো সনাক্ত করা যায়নি বলে জানিয়েছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু।
রাতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ ও একজনকে সরকারি চাকরি দেবে রাজ্য সরকার।’ সঙ্গে রেলের ওপর দায় দিতেও ভোলেননি মমতা। বলেন, ‘অগ্নিকাণ্ডের পর এতক্ষণ কাটলেও রেলের তরফে কাউকে এখানে দেখা যায়নি। রেলের কাছে ভবনের একটি ম্যাপ চাওয়া হয়েছিল। সেটিও দিতে পারেনি রেল।’
সোমবার সন্ধ্যা ৬.১৫ মিনিটে আগুন লাগে পূর্ব রেলের সদর দফতর নব কয়লাঘাটা ভবনে। ভবনের ১৩ তলায় আগুন দেখা যায়। সঙ্গে সঙ্গে অগ্নিনির্বাপণের কাজ শুরু করে দমকল। আনা হয় দমকলের যান্ত্রিক মই। একে একে সেখানে আসে দমকলের ১০টি ইঞ্জিন। প্রায় ৪ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এদিনের ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবে প্রশ্ন উঠছে, কেন আগুন নেভাতে লিফটে করে ওপরে উঠলেন দমকল কর্মীরা? সেই প্রশ্নের জবাব খুঁজছেন আধিকারিকরা।