নবান্ন থেকে বাংলায় বিনিয়োগ নিয়ে সুখবর শোনালেন মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য় উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায়। মূলত কলকাতার লেদার কমপ্লেক্সে বিরাট বিনিয়োগের কথা জানিয়েছেন তিনি। আলাপান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, অন্তত ১০ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হতে চলেছে লেদার কমপ্লেক্সে। সেখানে প্রচুর ট্যানারি ও জুতো তৈরির কারখানা হবে। প্রায় শতাধিক ইউনিট সেখানে হতে পারে।
মোটামুটি ১৪৭টি ট্যানারি ও ১৩৯টি জুতো তৈরির কারখানা হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। সেক্ষেত্রে অন্তত ৭ লাখ কাজের সুযোগ রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। কার্যত লেদার কমপ্লেক্সকে কেন্দ্র করে নতুন আশায় বুক বাঁধতে চলেছেন অনেকেই।
এলাকার পরিকাঠামো উন্নয়নে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে বাংলায় শিল্প উন্নয়ন হয় না বলে যখন বিরোধীরা নানা সময় নানা কথা বলেন তখন কলকাতার লেদার কমপ্লেক্সকে ঘিরে নতুন করে স্বপ্ন বুনতে শুরু করছেন অনেকেই।
এবার লেদার কমপ্লেক্স থেকে সামগ্রি রফতানির উপর জোর দেওয়া হচ্ছে। নবান্নে বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে বৈঠক হয়েছে। সেখানে শিল্প দফতরের আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। রাজ্য়ের একাধিক শিল্পপতি উপস্থিত ছিলেন এলাকায়। সেই সঙ্গেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে আলিপুরে হিডকো একটি মল তৈরি করবে। এনিয়ে নবান্নের বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায় জানিয়েছেন, বিপুল ক্ষমতাসম্পন্ন পানীয় জল সরবরাহ কেন্দ্র তৈরি করবে সরকার। ৪৭৫ কোটি টাকা ব্যয়ে এই পানীয় জল সরবরাহ কেন্দ্র তৈরি করা হবে। তবে এটা শুধু ট্যানারির কাজের জন্য় নয়, আশপাশের মানুষের জলের চাহিদা মেটানোর ক্ষেত্রেও এই জল সরবরাহকেন্দ্রটি কাজ করবে। কর্মদিগন্ত প্রকল্পকে কী করে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা নেওয়া যায় তা নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
আলিপুর মিউজিয়ামের সামনে হিডকোর উদ্যোগে একটি লেদার ও কটেজ ইন্ডাস্ট্রি মল তৈরি করবে। সেখানে লেদার কমপ্লেক্সে উৎপাদিত নানা সামগ্রী বিক্রি করা হবে। সেই মলে যে সমস্ত সামগ্রী থাকবে তার মধ্য়ে অর্ধেকই লেদার কমপ্লেক্সে উৎপাদিত সামগ্রী থাকবে। আর সেখানে বাকি যে ৫০ শতাংশ সামগ্রী থাকবে তার বেশিরভাগই বাংলার ক্ষুদ্র শিল্প থেকে উৎপাদিত সামগ্রী থাকবে।
সব মিলিয়ে বাংলায় লেদার কমপ্লেক্সকে কেন্দ্র করে ফের বিনিয়োগের জোয়ার আসতে পারে। নতুন নতুন ইউনিট তৈরি হবে। সেই ইউনিটগুলিকে ঘিরে নতুন করে কর্মসংস্থানের সুযোগও রয়েছে।