বর্তমানে রাজ্যে করোনা রোগীদের ৭০ শতাংশই ওমিক্রন রূপভেদে আক্রান্ত। রিপোর্টে এমনই জানাল কেন্দ্রীয় সংস্থা ইনসাকগ। গত ২ সপ্তাহে কল্যাণীতে যত করোনার নমুনার জিনোম সিকুয়েন্সিং হয়েছে তার ৭০ শতাংশের ক্ষেত্রেই রোগী ওমিক্রনে আক্রান্ত ছিলেন বলে জানানো হয়েছে রিপোর্টে।
নতুন বছরের শুরু থেকেই পশ্চিমবঙ্গে স্বমহিমায় ফিরেছে করোনা। প্রতিদিন সংক্রমণ বাড়ছে লাফিয়ে। আক্রান্ত সাধারণ মানুষ থেকে চিকিৎসক – স্বাস্থ্যকর্মীরা। যার ফলে অনেক হাসপাতালের পরিষেবায় গুরুতর প্রভাব পড়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, এই পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। আশঙ্কা আরও বাড়িয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থার রিপোর্ট। তাদের দাবি রাজ্যে পরীক্ষা হওয়া নমুনার ৭০ শতাংশই ওমিক্রনে আক্রান্ত।
পশ্চিমবঙ্গে জিনোম সিক্যুয়েন্সিংয়ের একমাত্র গবেষণাগারটি রয়েছে কল্যাণীতে। ন্যশনাল ইন্সটিটিউট অফ বায়োমেডিক্যাল জিনোমিক্স নামে সেই সংস্থায় প্রতিদিন কয়েক হাজার জিনোম সিক্যুয়েন্সিংয়ের ব্যবস্থা রয়েছে। এক একটি জিনোম সিক্যুয়েন্সিং শেষ হতে সময় লাগে ৭২ ঘণ্টা। সেখানে পরীক্ষা হওয়া নমুনার তথ্য থেকেই রাজ্যের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা জানতে পেরেছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে এই পরিসংখ্যান পুরোপুরি ঠিক নয়। কারণ, যাদের দেহে ওমিক্রন সংক্রমণ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে তেমন মানুষেরই লালারসের নমুনা পাঠানো হচ্ছে জিনোম সিক্যুয়েন্সিংয়ে। ফলে ওমিক্রন সংক্রমণের হার বেশি হতে পারে গবেষণাগারের তথ্যে।