কোয়ারেনটাইনে থাকা NRS মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স ও চিকিৎসাকর্মীদের ৭৪ জনের করোনা সংক্রমণের রিপোর্ট নেগেটিভ। বুধবার এই রিপোর্ট আসার পর কিছুটা স্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ও স্বাস্থ্য দফতর। হাসপাতালে এক COVID 19 রোগীর মৃত্যুর পর মোট ৭৯ জনকে কোয়ারেটনাইনে পাঠিয়েছিল স্বাস্থ্য দফতর। তাঁদের মধ্যে ৭৪ জনের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও এখনই কাজে যোগ দেবেন না তাঁরা।
গত শনিবার এনআরএস হাসপাতালের সিসিইউতে এক করোনা রোগীর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর তাঁর করোনা পরীক্ষার পজিটিভ রিপোর্ট আসে। তার পরই মাথায় বাজ পড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। কারণ, হাসপাতালে ভর্তির সময় যুবকের দেহে করোনার কোনও লক্ষণ ছিল না। হিমোফিলিয়ার ওই রোগীকে ভর্তি করা হয়েছিল মেল মেডিসিন ওয়ার্ডে। তাঁর চিকিৎসা করার সময় প্রয়োজনীয় সুরক্ষাবিধিও পালন করেননি চিকিৎসকও নার্সরা।
যুবকের মৃত্যুর পর রবিবার থেকে তাঁর সংস্পর্শে এসেছেন এমন চিকিৎসক ও নার্সদের চিহ্নিত করে নিউ টাউনের কোয়ারেনটাইন সেন্টারে পাঠানো শুরু হয়। মঙ্গলবার পর্যন্ত মোট ৭৯ জনকে কোয়ারেনটাইনে পাঠায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তাদের মধ্যে ৩৯ জন চিকিৎসক।
তবে এখুনি কাজে ফিরতে পারবেন না তাঁরা। ১৪ দিন কোয়ারেনটাইনেই থাকতে হবে ওই চিকিৎসক ও নার্সদের। তার পর ফের করোনা পরীক্ষা হবে তাঁদের। সেই রিপোর্টও নেগেটিভ হলে হাসপাতালে ফিরবেন তাঁরা।
কোয়ারেনটাইনে থাকা প্রত্যেকের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে নাইসেডে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। মঙ্গলবার তাদের মধ্যে ৩০ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। বুধবার আরও ৪৪ জনের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।
ওদিকে শনিবার ওই যুবকের মৃত্যুর পর থেকেই হাসপাতাল জীবাণুমুক্ত করার কাজ শুরু হয়েছে। মেল মেডিসিন ওয়ার্ড ও সিসিইউ জীবাণুমুক্ত করার জন্য ৪৮ ঘণ্টা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ওই ওয়ার্ডের রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।