রেড রোড দুর্ঘটনা ঘাতক বাসটির বেপরোয়া গতির জন্য দায়ী। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে এই বিষয়টিই উঠে এসেছে। ইতিমধ্যে ঘাতক বাসটির চালক সৈয়দ ইবরার হোসেনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আগেও একাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। এক বা দুই নয়, মোট ৮৪টি অভিযোগ জমা পড়েছে পুলিশের কাছে। তারমধ্যে ১০টি অভিযোগই জমা পড়ে বেপরোয়া গতিতে বাস চালানোর অভিযোগে।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বাসটির কোনও যান্ত্রিক ত্রুটি পাওয়া যায়নি। একইসঙ্গে ফরেনসিক রিপোর্ট থেকে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছে, বাসটি দুর্ঘটনায় পড়ার ২০ মিনিট আগে বা ২০ মিনিট পরে কোনও ব্রেক কষা হয়নি। এর থেকেই তদন্তকারীদের অনুমান, বেপরোয়া গতির কারণেই বাসটি দুর্ঘটনায় পড়েছিল। এরফলেই পুলিশ কর্মী বিবেকানন্দ ডাবের মৃত্যু হয়। জানা যায়, ঘটনার পর ঘাতক বাসটির চালক তাঁর দিদির বাড়িতে পালিয়ে যান। মোবাইল ফোনটিও বন্ধ করে দেন। শনিবার বিশ্বস্ত সূত্রে পুলিশ খবর পেয়ে কামারহাটি থেকে গ্রেফতার করে।
গত বৃহস্পতিবার বাস দুর্ঘটনার পর থেকেই বাসটির চালক পলাতক ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, দুর্ঘটনার পর বাসটির মধ্যে বেশ কিছুক্ষণ বসেই ছিলেন চালক। চালকের চোখ মুখ দেখে তাঁকে মত্ত অবস্থায় ছিলেন বলেই মনে হয়েছিল। সত্যিই চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন কিনা, সেই বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। উল্লেখ্য, রেড রোডের সামনে বাস দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় এক বাইক আরোহীর। পরে জানা যায়, ওই বাইক আরোহী একজন পুলিশ কর্মী। এই দুর্ঘটনায় ২০ থেকে ২৫ জন যাত্রী আহতও হন। তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।