রেশন দুর্নীতি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে রিপোর্ট জমা দিল রাজ্য পুলিশ। তাতে রাজ্যে রেশন দুর্নীতির ৮৭টি অভিযোগের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছে তারা। এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে আগামী ১৭ জুন আদালতে জবাব দেবে ইডি। ২৪ জুন পর্যন্ত রেশন দুর্নীতির ৬টি মামলায় রাজ্য পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: এর পর লোকে বউয়ের মধ্যেও মমতার মুখ দেখতে পাবে, চাঞ্চল্যকর দাবি সুকান্ত মজুমদারের
পড়তে থাকুন: ফেক ভিডিয়ো তৈরির অভিযোগে ফের উত্তপ্ত সন্দেশখালি, TMC নেতাকে গণধোলাই মহিলাদের
রেশন দুর্নীতির সমস্ত মামলার তদন্তভার নিজেদের হাতে নিতে চেয়ে আদালতের কাছে আবেদন জানিয়েছিল ইডি। ইডির আবেদনের প্রেক্ষিতে রাজ্য পুলিশের কাছে রাজ্যে রেশন দুর্নীতির কতগুলি মামলা দায়ের হয়েছিল তা জানতে চায় আদালত। হাইকোর্টের নির্দেশে সোমবার রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন থানায় রেশন দুর্নীতির মোট ৮৭টি FIR দায়ের হয়েছিল। তার মধ্যে ৬৫টিতে ইতিমধ্যে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে। ২০টি মামলার তদন্ত চলছে। ২টি মামলা ত্রুটিপূর্ণ। এই রিপোর্টের ভিত্তিতে ইডিকে আগামী ১৭ জুন তাদের বক্তব্য জানাতে বলেছে আদালত। সঙ্গে রেশন দুর্নীতির যে ৬টি মামলায় রাজ্য পুলিশের তদন্তে আদালত স্থগিতাদেশ জারি করেছিল তা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছে আদালত। মামলার পরবর্তী শুনানি ২৪ জুন।
আরও পড়ুন: অপরাধীর নাম শেখ শাহজাহাঁ বলেই TMCর গুন্ডারা সন্দেশখালির বোনেদের ভয় দেখাচ্ছে: মোদী
রেশন দুর্নীতিকাণ্ডে গত বছর ২৭ অক্টোবর গ্রেফতার হন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে রেশন দুর্নীতিতে মদত দেওয়ার অভিযোগ আনে ইডি। অভিযোগ, রেশন দুর্নীতির অন্যতম পান্ডা বাকিবুর রহমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়িক যোগাযোগ রয়েছে তাঁর। এমনকী যৌথ মালিকানাধীন সংস্থাও রয়েছে। ইডির আরও দাবি, রেশন দুর্নীতিতে ভারতের রেশনসামগ্রী বিদেশে পাচার হয়েছে। বিদেশে পাচার হয়েছে কোটি কোটি টাকা। টাকা পাচারে যুক্ত থাকায় গত ৫ জানুয়ারি গ্রেফতার হন বনগাঁর প্রাক্তন তৃণমূলি পুরপ্রধান শংকর আঢ্য। তদন্তে সন্দেশখালিতে গিয়ে আক্রান্ত হন ইডির আধিকারিকরা।