রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বসাতে চায় সরকার। রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়কে সরিয়ে ওই পদে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। এমন উদ্যোগকে ঘিরে ইতিমধ্যেই সমালোচনার ঝড় উঠেছে বাংলা জুড়ে। তা সত্ত্বেও সরকার কিন্তু এনিয়ে যাবতীয় তৎপরতা জারি রেখেছে। ইতিমধ্যেই রাজ্য মন্ত্রিসভা এই উদ্যোগে সায় দিয়েছে।
সূত্রের খবর আগামী বাদল অধিবেশনে রাজ্য সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য বদলের বিল আনা হতে পারে। পাশাপাশি বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিটর পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে সেখানে শিক্ষামন্ত্রীকে বসানোর বিলটিও আনা হতে পারে বাদল অধিবেশনেই।
আগামী জুন মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে বাদল অধিবেশন বসতে পারে। তার আগে এই বিল আনার যাবতীয় প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। মূলত সিদ্ধান্ত রূপায়নের ক্ষেত্রে বিল পাস করে তা আইনে পরিণত করা দরকার। তারপরই তা কার্যকরী হবে। সেকারনেই যাবতীয় নিয়মগুলিকে খতিয়ে দেখছে রাজ্য সরকার। কিন্তু একটা খটকা থেকেই গিয়েছে।
প্রশাসনের একাংশের মতে, বিল পাস করে তা অনুমোদনের জন্য রাজ্যপালের কাছে পাঠাতে হবে নিয়ম অনুসারে। সেক্ষেত্রে রাজ্যপাল কি আদৌ সেখানে সই করবেন? কারণ তাঁকে সরিয়েই সেখানে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানো হবে। সেখানে সায় দেওয়ার জন্য় কি আদৌ তৈরি আছেন রাজ্যপাল? এই প্রশ্নটাই এবার বড় করে উঠছে। অন্যদিকে রাজ্যপাল সই না করলে তা আইনে পরিণত হওয়াও সম্ভব নয়। সেকারনেই মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানো নিয়ে একটি কাঁটা থেকেই গিয়েছে।