ব্রেক–আপ হতে চলেছিল। এই আশঙ্কা থেকেই আত্মহত্যার পথ বেছে নিল ২২ বছরের তরুণ। মাকে ফোন করে হতাশার কথা জানিয়েছিল তরুণটি। মা বিশ্বাসই করতে পারেননি ছেলে এমন কিছু ঘটাতে চলেছে। তবে চেষ্টা করেও বাঁচাতে পারলেন না ছেলেকে। এই আত্মহত্যার ঘটনা সামনে আসতেই প্রেমিকাকেই কাঠগড়ায় তুলছে মৃত তরুণের পরিবার।
ঠিক কী ঘটেছে দক্ষিণে? স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার লেক থানা এলাকায়। মাকে ফোন করে বেঁচে থাকার ইচ্ছে নেই বলে জানায় তরুণ। প্রেমিকার সঙ্গে সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সেখান থেকেই হতাশার জন্ম। ছেলের ফোন পেয়ে মা ছুটে আসে তার কাছে। কিন্তু ততক্ষণে সব শেষ।
কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় মাকে ফোন করে লেক গার্ডেন্সের ওই তরুণ জানায়, সে আর বাঁচতে চায় না। তারপরই ফোন কেটে দেয় সুমন। ছেলের ফোন পেয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মা। সঙ্গে সঙ্গেই ছুটে আসেন বাড়িতে। কিন্তু এসে দেখেন ছেলের ঝুলন্ত দেহ। তবে ছেলের পকেট থেকে একটি সুইসাইড নোট পাওয়া গিয়েছে।
কী আছে সেই সুইসাইড নোটে? ওই সুইসাইড নোটে নিজের মৃত্যুর জন্য কাউকে দায়ী করেনি সুমন। তবে মানসিক চাপে ছিল বলে সেখানে উল্লেখ রয়েছে। সুমন স্নাতক হয়ে একটি চাকরি পেয়েছিল। আর পরিবারের অভিযোগ, প্রেমিকার সঙ্গে ব্রেক–আপ হওয়ার আশঙ্কায় এই ঘটনা ঘটেছে। ওই তরুণীর সঙ্গে সুমনের ঘনিষ্ঠতা ছিল। ছেলের মোবাইল ঘেঁটে বেশ কয়েকটি চ্যাটও খুঁজে পান অভিভাবকরা। ওই তরুণীই সুমনকে আত্মহত্যার প্ররোচনা দেয়।