হাইকোর্টের নির্দেশে উচ্চ প্রাথমিকে পুজোর আগে প্রায় ১৪ হাজার নিয়োগের আশায় জল পড়ল। সুপ্রিম কোর্টে গেলেন মামলাকারীদের একাংশ। আগামী সপ্তাহে সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি হতে পারে বলে সূত্রের খবর।
আরও পড়ুন - অষ্টমের বইয়ে হিন্দু ইতিহাসকে বিকৃত, বাংলাদেশের মতো মগজধোলাই বাংলায়, দাবি BJP-র
পড়তে থাকুন - জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতি নয়, চিকিৎসায় গাফিলতিতে মৃত্যু,ক্ষতিপূরণ ফেরাল পরিবার
২০১৬ সালে উচ্চ প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়েছিল। ২০২০ সালে সেই প্যানেল ত্রুটিপূর্ণ বলে বাতিল করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। ২০২৩ সালে হাইকোর্ট পরীক্ষার প্যানেল প্রকাশের অনুমতি দিলেও সুপারিশপত্র দেওয়ার অনুমতি দেয়নি। আদালতের নির্দেশে প্যানেল প্রকাশ করে SSC. কিন্তু দেখা যায় প্রথম প্যানেলে নাম থাকা ১,৪৬৩ জনের নাম দ্বিতীয় প্যানেলে বাদ পড়েছে। আদালতে SSC জানায় OMR পুনর্মূল্যায়ণে এদের নাম বাদ পড়েছে। গত ২৮ অগাস্ট এক রায়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ রায়ে জানায় এভাবে গোটা প্রক্রিয়া শেষ হয়ে যাওয়ার পর কারও নাম প্যানেল থেকে বাদ দেওয়া যায় না। একই সঙ্গে ৪ সপ্তাহের মধ্যে ১৪,০৫২ জনকে নিয়ে প্যানেল প্রকাশ করে সুপারিশ পত্র দিতে নির্দেশ দেন বিচারপতিরা। আদালতের এই রায়ে পুজোর মুখে রাজ্যে বেশ কিছু সরকারি চাকরির দরজা খুলে গিয়েছিল।
আরও পড়ুন - 'যারা মৃতদেহের পর্নোগ্রাফি বানায় তাদেরই রোগীকল্যাণ সমিতিতে রাখবেন মমতা'
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সোমবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন রাজীব ব্রহ্মসহ বেশ কয়েকজন চাকরিপ্রার্থী। আগামী সপ্তাহে মামলাটির শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হতে পারে বলে সূত্রের খবর। এই মামলার জেরে আপাতত আটকে গেল উচ্চ প্রাথমিকের নিয়োগপ্রক্রিয়া।