ঘরের ভিতর যুবকের ঝুলন্ত দেহ। বিছানায় রক্তাক্ত যুবতী। সার্ভে পার্ক থানা এলাকার কালিকাপুরের সর্দারপাড়ায় এভাবেই মেলে এক যুগলকে। এই ঘটনায় গোটা এলাকায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এই ঘটনা বৃহস্পতিবার ঘটলেও তা প্রকাশ্যে আসে আজ, শুক্রবার। তখন থেকেই বিষয়টি এলাকায় চর্চিত হতে শুরু করেছে। দোলের আগে এই ঘটনা কেন ঘটল? উঠছে প্রশ্ন।
পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতদের নাম শ্যামল রায় ওরফে জ্যাকি (৩২) এবং শেফালি খাতুন (৩০)। এই দেহ দুটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করেন। এই শ্যামল রায়ের আদি বাড়ি সন্তোষপুরের লেক ইস্ট রোডে। শেফালির বাড়ি মুর্শিদাবাদে। শেফালিকে শ্যামলের স্ত্রী হিসেবে দেখানো হয়েছে বিভিন্ন জায়গায়। বাড়ির মালিক মন্টু হাজারি জানান, তাঁরা স্বামী–স্ত্রী পরিচয় দিয়ে এই ফ্ল্যাট ভাড়া নেন। দু’মাস আগে তাঁরা এই ফ্ল্যাট ভাড়া নেন।
তদন্তে কী ইঠে এল? পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে, শ্যামল–শেফালির ফ্ল্যাট থেকে কোনও সুইসাইড নোট মেলেনি। শেফালির গলায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। তাঁর দেহে কোনও জামা ছিল না। এই ঘটনায় রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি। তাই সার্ভে পার্ক থানা দু’টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করেছে। লালবাজারের হোমিসাইড শাখার অফিসাররা ঘটনাস্থলে এসেছিলেন। দেহ দু’টি ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে।
এখন প্রশ্ন উঠছে, শেফালিকে কী শ্যামল খুন করেছেন? তারপর শ্যামল আত্মঘাতী হয়েছেন? আজ ময়নাতদন্ত হলেই প্রশ্নের উত্তর মিলবে। এই দু’জনের মধ্যে প্রায়ই ঝগড়া হতো বলে প্রতিবেশীদের দাবি। তাঁরাই ফ্ল্যাটের জানালা দিয়ে এই দৃশ্য দেখে পুলিশে খবর দেন। শ্যামল রায় নির্মাণ ব্যবসা করত। শ্যামলের পরিবারের সদস্যরা থাকেন লেক ইস্ট রোডে। এদিন তাঁরা এসেছিলেন।