শুভেন্দু অধিকারী এক্স হ্যান্ডেলে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে দেখা যাচ্ছে একটি বিল্ডিং সবুজ নেট দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে। সেই সংক্রান্ত একাধিক ছবিও তিনি পোস্ট করেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘তাহলে গেরুয়া রঙ মমতার চক্ষুশূল। কলকাতা এয়ারপোর্টের কাছে একটি বিল্ডিং সেটা গেরুয়া রং করা হয়েছিল। সেটা জোর করে সবুজ জাল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। মমতা পুলিশ ও স্থানীয় পুরসভা কর্তৃপক্ষ সেগুলি জাল দিয়ে ঘিরে দেয়। যাতে উত্তরবঙ্গ থেকে ফেরার পথে এটা দেখে তিনি রেগে না যান।’
‘এটা খুব দুর্ভাগ্যজনক যে গেরুয়া রঙ ত্যাগ ও তিতিক্ষার প্রতীক। এই রঙের বস্ত্র পরিধান করতেন স্বামী বিবেকানন্দ।এটা দেখেই অস্বস্তি হচ্ছে মুখ্য়মন্ত্রীর।’
‘এই বিল্ডিংয়ের নাম জয় মাতাদি অ্যাপার্টমেন্ট। এই বিল্ডিংয়ের মালিক পান্না বর্ধন। ভোরবেলা সারা আকাশকে গেরুয়া করে দেয়। প্রশাসন এই আকাশ ঢাকার জন্য এবার কী করবে?’ প্রশ্ন শুভেন্দুর। তবে এই ভিডিয়ো বা ছবির সত্যতা যাচাই করেনি হিন্দুস্তান টাইমস বাংলা।
শুভেন্দু অধিকারির এই পোস্টের জবাবে নানা জনে নানা কথা বলেছেন। এক নেটনাগরিক লিখেছেন, এই নেত্রীকে থামানো দরকার। না হলে তিনি একদিন তাঁর দলের কর্মীদের বর্ডার পাহারা দিতে নামিয়ে দেবেন। তাঁর উচিত পুজোর সময় গাঁদা ফুলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা।
অপর একজন লিখেছেন, বাংলার মানুষ এগুলো সহ্য করেন। এটা অবাক করা ব্যাপার।
অপর একজন লিখেছেন, আমরা তো কোনওদিন চিন্তাই করতে পারিনি মমতা এমন জায়গায় এসে যাবেন!
অপর এক নেট নাগরিক লিখেছেন বাংলার প্রত্যেক মানুষের উচিত সমস্ত বাড়ি যেন তাঁরা গেরুয়া রঙে রাঙিয়ে দেন।
অপর এক নেট নাগরিক লিখেছেন, এটা খুবই নোংরা কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের। সনাতন সংস্কৃতির প্রতি তাঁর এত ঘৃণা কেন? তিনি কি এবার সূর্যও ঢেকে দেবেন!
অপর এক নেট নাগরিক লিখেছেন, আপনি কোথায় কতটা ঢেকে দিচ্ছেন সেটা কোনও ব্যাপার নয়। মানুষের মন থেকে গেরুয়া রঙ আপনি ঢাকতে পারবেন না।
এদিকে বাংলার একাধিক মণ্ডপ সজ্জা নিয়েও ইতিমধ্য়ে অস্বস্তিতে পড়েছে তৃণমূল। একটি মণ্ডপে শিরদাঁড়ার একটি প্রতিলিপি করা হয়েছিল। সেই শিরদাঁড়াটিকেও ঢেকে দেওয়া হয়েছে বলে খবর। এখানেই প্রশ্ন, মণ্ডপে শিরদাঁড়া থাকবে সেটা নিয়েও কেন আপত্তি হচ্ছে? সামগ্রিক পরিস্থিতিতে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।