ফের বড় বিপর্যয়। গভীর রাতে ভেঙে পড়ল পুরানো, জীর্ণ চারতলা বাড়ির একাংশ। কলকাতার বড়বাজারের বাবুলাল লেনেই ছিল বাড়িটি। আগেই বিপজ্জনক ঘোষণা করা হয়েছিল বাড়িটিকে। কিন্তু শরিকি বিবাদে বাড়ি সংস্কার হয়নি বলে অভিযোগ। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাত ৩টে নাগাদ আচমকাই হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ে বাড়ির পরিত্যক্ত অংশটি। এদিকে অল্পের জন্য রক্ষা পান প্রতিবেশী এক বৃদ্ধা। তিনি ধ্বংসস্তুপের মধ্যেই আটকে পড়েছিলেন। প্রায় ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় তাঁকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ. দমকল, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ঘটনাস্থলে আসে। স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় তারা ওই বৃদ্ধাকে কোনওরকমে উদ্ধার করে। তবে তিনি ভাগ্যক্রমে বড় কোনও আঘাত পাননি। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে গোটা ঘটনায় ফের কলকাতা শহরের বিপজ্জনক বাড়িগুলিকে ঘিরে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
কবে এবারই প্রথম নয়, এর আগেও কলকাতায় একাধিক বিপজ্জনক বাড়ির অংশ ভেঙে পড়েছে। এদিকে বছর তিনেক আগেও এই বাড়ির একাংশ ভেঙে পড়েছিল। তারপরেও কেন পুরসভা কড়া ব্যবস্থা নেয়নি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। তবে সম্প্রতি ট্যাংরার বৈশালিতে একটি বাড়ির আচমকা বিস্ফোরণে ভেঙে পড়েছিল। বাড়ির মালিক সেই সময় দাবি করেছিলেন ঘরে রান্না বসিয়ে তিনি বাড়ির বাইরে বেরিয়েছিলেন। সেই সময়ই আচমকা বিস্ফোরণ ঘটেছিল। গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়েছিল বলেই তিনি দাবি করেছিলেন। তবে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞদের দাবি, ভেপার ক্লাউড বিস্ফোরণের জেরে এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। যখন প্রচুর দাহ্য বাস্প বা পদার্থ বাতাসের সংস্পর্শে এসে জ্বলে ওঠে তখন বিস্ফোরণ ঘটতে পারে। গ্যাস সিলিন্ডারের রেগুলেটরের সমস্যা থাকলেও সিলিন্ডারের কোনও ক্ষতি হয়নি ওই বাড়িতে। তবে এসবের মধ্যেই কলকাতার বিপজ্জনক বাড়়িগুলির পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ থেকেই গিয়েছে।