সিবিএসই বোর্ড পরীক্ষার ফলাফল বের হয়েছে। সেই পরীক্ষার ফলাফল বের হওয়ার পর এক ছাত্রীর পরীক্ষার ফলাফল মনে করাচ্ছে একটা কথাই হাল ছেড়োনা বন্ধু।
দেখা যাচ্ছে কলকাতার ওই ছাত্রী গত ফেব্রুয়ারি মাসে বোর্ড পরীক্ষার প্রথম দিনেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। আত্মহত্যার চেষ্টাও করেছিলেন। পরে অবশ্য সে নিজেকে ধীরে ধীরে তৈরি করে। আর দেখা যাচ্ছে সেই ছাত্রীই এবার ৬৩ শতাংশ নম্বর পেয়ে প্রথম বিভাগে পাশ করেছে। আর সেই ছাত্রীই এখন বলছেন, জানেন আশা ছেড়ে দেওয়াটা কোনও পথই নয়।
সূত্রের খবর, গত ২২ ফেব্রুয়ারি ইংরেজি পরীক্ষা যেদিন হয়েছিল সেদিনই তিনি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, ইংরেজি পরীক্ষার পরেই তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। আর পরের পরীক্ষার দিন ছিল ৯ মার্চ। সেদিন কার্যত মনের জোর নিয়ে তিনি দ্বিতীয় পরীক্ষায় বসেন। সেদিন ছিল অঙ্ক পরীক্ষা। তবে তার স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকারা সবসময় তার পাশে ছিলেন। তাকে নানাভাবে বুঝিয়ে পরীক্ষায় বসার ব্যবস্থা করেন। পরে ওই ছাত্রী অন্যান্য পরীক্ষাগুলি দেন।
ওই ছাত্রী আদিত্য বিড়লা আকাদেমির ছাত্রী। সেই স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারাও সবসময় তার পাশে ছিলেন। ওই ছাত্রীর কাউন্সেলিংও করা হয়। আর সেই ছাত্রী এবার বলছেন, আমি যখন ফিরে এসেছিলাম তখন আমি একেবারে নতুন মানুষ।নিজের প্রতি আমার আস্থা অনেক বেড়ে গিয়েছে। আমি আগের থেকে অনেকটাই ভালো বোধ করছি। আমি জিতেছি। আমি বেঁচে গিয়েছি।
পরীক্ষার ফলাফল বের হওয়ার ওই ছাত্রীর বাবা মা অত্যন্ত খুশি। শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতি কৃতজ্ঞ তাঁরা। তার অভিভাবকরা জানিয়েছেন, শিক্ষকদের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ আমরা। আমরা প্রিন্সিপালের প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ। তারাই আমার মেয়েকে নানাভাবে অনুপ্রাণিত করেছিলেন। এমনকী তারা আমাদের বলতেন মেয়েকে কীভাবে আরও এগিয়ে চলার জন্য় অনুপ্রাণিত করতে হবে।
এদিকে ওই ছাত্রী বরাবরই পড়াশোনায় ভালো। সে একাধিক পরীক্ষায় ৯০ শতাংশ নম্বর পেত। ২০২০ সালের ক্লাস ১০এর CBSE পরীক্ষায় সে ৯৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছিল। তবে কোভিড অতিমারিজনিত সমস্যার জেরে তার পড়াশোনায় অনেকটাই ক্ষতি হয়ে যায়। সে কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে পড়ে। সেই সঙ্গেই প্রত্যাশার চাপে সে ক্লান্ত হয়ে পড়ছিল ক্রমশ। কিন্তু একজন ছাত্রীর পক্ষে এই প্রত্যাশার চাপ সামলানো যে কতটা কঠিন সেটা সে হয়তো অনেকেই বোঝেন না। তবে সেই ছাত্রীই এখন বিশ্বাস করেন, খারাপ দিনগুলো এখন অতীত। তিনি এখন বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চান। তিনি পরে এমবিএ করতে চান।