গল্ফগ্রিনে খাটের তলায় মহিলার রক্তাক্ত দেহ। একেবারে হাড়হিম করা ঘটনা। রাজেন্দ্রপ্রসাদ কলোনির ফ্ল্যাটে মাকে নিয়ে থাকতেন এক মহিলা। খাটের নীচে থেকে উদ্ধার হল তার দেহ। পুলিশ স্নিফার ডগ নিয়ে তদন্তে নেমেছে।
প্রায় ৮ বছর ধরে ওই এলাকায় থাকতেন ওই মহিলা। ফ্ল্যাটেই থাকতেন তিনি। সেই ফ্ল্যাটের ঘর থেকে উদ্ধার হল মহিলার দেহ। আততায়ী কে? তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
একেবারে খাটের নীচে থেকে পাওয়া গিয়েছে দেহ।সূত্রের খবর, মহিলা যে ঘরে থাকতেন সেখানে জিনিসপত্র কিছুটা লন্ডভন্ড কার ছিল। আলমারিও খোলা ছিল বলে খবর। এদিকে বার বার ফোন করেও সেই মহিলার কাছ থেকে সাড়া মিলছিল না। এরপর প্রতিবেশী আত্মীয়রা বাড়িতে গিয়ে ভয়াবহ ঘটনার কথা জানতে পারেন।
গোটা ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। সূত্রের খবর খাটের নীচে মহিলার রক্তাক্ত দেহ পড়ে ছিল। তার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। গলায় কাটা দাগ ছিল। পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
এদিকে পুলিশ কুকুর নিয়ে এসে তদন্ত চালানো হয়। এদিকে পুলিশ কুকুরটি ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে ওই মহিলার মায়ের দোকানের সামনে এসে থেমে যায় বলে খবর।
এদিকে ৩৫ বছর বয়সি ওই মহিলার মৃত্যুকে ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে। কে বা কারা এই খুনের ঘটনার পেছনে রয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
এদিকে সম্প্রতি টালিগঞ্জ এলাকাতে খুনের ঘটনা হয়েছিল। এবার গল্ফগ্রিনে উদ্ধার হল মহিলার রক্তাক্ত দেহ।
ওই মহিলার এক আত্মীয় সংবাদমাধ্য়মে জানিয়েছেন, ওই মহিলার মা ভালো করে চলাফেরা করতে পারেন না। তাকে এদিন সকালে কোনওরকমে ধরে দোকানে বসিয়ে দিয়েছিলেন। এরপর তিনি চলে যান। দুপুরেও তাকে খাবার দিয়ে এসেছিলেন। কিন্তু তারপর ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দিচ্ছিলেন। এরপরই এই ঘটনার কথা জানাজানি হয়।
একটি ক্যাফেতে কাজ করতেন ওই মহিলা। বুধবার তিনি ক্যাফেতে যাননি। এরপর সন্ধ্যায় তার দেহ উদ্ধার করা হয়। গল্ফগ্রিন থানার পুলিশ তদন্তে নেমেছে। কিন্তু এমন ঘিঞ্জি এলাকায় খুন করে পালিয়ে গেল আততায়ী কেউ জানতে পারল না। এটা ভাবাচ্ছে পুলিশকেও। পুলিশ এলাকার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখছে। পুলিশ এলাকার বাসিন্দাদের সঙ্গেও কথা বলছে।
গোটা ঘটনায় রহস্য দানা বেঁধেছে। বাসিন্দাদের মধ্য়েও আতঙ্ক ছড়িয়েছে।