বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > পণ দিতে পারেননি, জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হল বধূকে, অভিযোগ পরিবারের

পণ দিতে পারেননি, জীবন্ত জ্বালিয়ে দেওয়া হল বধূকে, অভিযোগ পরিবারের

স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে ছবিটি প্রতীকী (‌স্ক্রিন শর্ট)‌

বাবার বাড়ি থেকে অতিরিক্ত পণ আনতে পারেননি ২৩ বছর বয়সী ওই মহিলা।

পরিবারের দাবি, বিয়ের পর থেকেই পণের দাবিতে শ্বশুরবাড়ির অত্যাচার চরমে উঠেছিল। এমনকী স্ত্রীকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগও উঠেছিল স্বামীর বিরুদ্ধে। আর বৃহস্পতিবার রাতে সেই বধূর গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে জীবন্ত পুড়িয়ে হত্যা করার চেষ্টা হয় বলে অভিযোগ। তপসিয়ার তিলজলা রোডের ঘটনা। ওই বধূর শরীরের ৮০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছে।তাকে ন্যাশানাল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওই বধূর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।

বধূর বাবার বাড়ির অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে অতিরিক্ত পণ চাওয়া হত বধূর কাছ থেকে। এনিয়ে বার বার চাপ দেওয়া হত। এদিকে বিয়ে দিতেই অনেক টাকা খরচ হয়ে গিয়েছিল। বাবার বাড়ি থেকে অতিরিক্ত পণ আনতে পারেননি ২৩ বছর বয়সী ওই মহিলা। এরপরই অত্যাচার চরমে ওঠে। বৃহস্পতিবারও এনিয়ে বাড়িতে চরম অশান্তি শুরু হয়। অন্যান্যদিনের মতোই স্বামী তাকে মারধর করা শুরু করে বলে অভিযোগ। এরপরই তার শরীরে কেরোসিন তেল ঢেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। দাউ দাউ করে জীবন্ত জ্বলে যান ওই বধূ। তীব্র যন্ত্রণায় চিৎকার শুরু করে দেন। পরে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এই আধুনিক সমাজেও এভাবে পণের দাবিতে বধূকে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগকে ঘিরে শোরগোল পড়েছে। তবে শুধু তিলজলা নেয়, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তেই পণপ্রথার নামে চরম নির্যাতনের মুখে পড়তে হচ্ছে বধূকে। এমনটাই দাবি বাসিন্দাদের।

 

বন্ধ করুন