বিয়ের জন্য প্রস্তুতি শেষ। পাত্রীর বাড়িতে বড় আসার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঠিক শেষ মুহূর্তে নিজেই ফোন করে নিজের বিয়ে রুখলেন নাবালিকা। নাবালিকার ফোন পেয়েই বাড়িতে চলে আসে পুলিশ। ফলে আর বিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়নি নাবলিকার। ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটের চকভগু এলাকায়। নাবালিকা পরিবারের বিরুদ্ধে গিয়ে যেভাবে সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছে তাতে তাজ্জব সকলেই।
পুলিশ এবং পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকা এখন নদীপার এনপি হাইস্কুলে পড়ছে। তার ইচ্ছে ছিল উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করে আরও পড়া শোনা করা। কিন্তু, তার বাবা মা চেয়েছিলেন মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিতে। পাশের গ্রামের এক ব্যবসায়ী পাত্রের সঙ্গে তার বিয়ে ঠিক হয়েছিল। নাবালিকার বাবা পেশায় দিন মজুর। নাবালিকার পরিবারের দাবি, আর্থিক অনটনের কারণে তাদের পক্ষে মেয়ের পড়াশোনা চালানো সম্ভব ছিল না। তাই তারা তাই ছিলেন দ্রুত মেয়ের বিয়ে দিয়ে দায়িত্ব পালন করতে।
কিন্তু, পরিবারের সেই কথা কিছুতেই মানতে চায়নি নবালিকা। পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, প্রথমে নাবালিকা ওই স্কুলে ফোন করে বিষয়টি জানায়। এরপর স্কুল থেকে ফোন করা হয় থানায়। খবর পাওয়ার পরেই পুলিশ নাবালিকার বাড়িতে পৌঁছে বিয়ে বন্ধ করে দেয়।
হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষিকা রীতা ধরের কথায়, ‘ওই ছাত্রী এর আগে যখন আমাদের বিয়ের কথা জানিয়েছিল তখন আমরা তার বাড়িতে গিয়ে বুঝিয়ে ছিলাম। কিন্তু, তার পরেও বিয়ের সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটেন পরিবার। বিয়ের দিন আবার ওই ছাত্রী আমাদের বিষয়টি জানালে আমরা পুলিশকে ফোন করি। ’ বালুরঘাট সদর ডিএসপি হেডকোয়ার্টার সোমনাথ ঝাঁ জানিয়েছেন, ‘নাবালিকাকে উদ্ধার করে চাইল্ড লাইনে পাঠানো হয়েছে। তার বাবাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া, আমরা নাবালিকাদের বিবাহ রোখা নিয়ে সচেনতামূলক প্রচার চালাচ্ছি।’