হাই রিস্ক গ্রুপের মধ্যে থাকা মা ও শিশুর শারীরিক অবস্থার তথ্য পাওয়া যাবে একটি পোর্টালে ক্লিক করলেই। রাজ্য সরকারের তরফে এমন পরিকল্পনা করা হয়েছে। এর ফলে মা ও শিশুদের শারীরিক অবস্থা পর্যবেক্ষণে রাখতে সুবিধা হবে আশাকর্মীদের। পাশাপাশি সরকারি আধিকারিকদেরও এই বিষয়ে খোঁজখবর রাখা সহজ হবে।
শিশু জন্মানোর পর অনেক সময় অনেক মহিলারই শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে। আবার অনেক সময়ে সদ্যোজাতের শারীরিক অবস্থাও চিন্তায় কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এই সব মা ও শিশুকে দেখাশোনার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। জানা গিয়েছে, এই কাজে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরকে সাহায্য করবে ইউনিসেফ ও রাজ্যে নারী, শিশু কল্যাণ দফতর। হাই রিক্স গ্রুপে থাকা মা ও শিশুদের যাবতীয় তথ্য জানতে নতুন পোর্টাল আনছে রাজ্য সরকার। এই পোর্টালের মাধ্যমে এই সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য পাওয়া যাবে। এর ফলে ওই সব মা ও শিশুদের শারীরিক অবস্থার পর্যবেক্ষণেও সুবিধা হবে।
প্রশাসন সূত্রে খবর, যে সব নবজাতক হাই রিস্ক গ্রুপে রয়েছে, তাঁদের ৭, ১৪, ২১, ২৮ ও ৪২ দিনের মাথায় ওজন ও উচ্চতা মাপা হবে। স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিকের মতে, শিশুর ওজন ও উচ্চতা যত বাড়বে, ততই তার বুদ্ধাঙ্কের বিকাশ হবে। তাই এই সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নতুন এই পোর্টাল চালু হলে শিশুদের নিয়মিত পর্যবেক্ষণে আরও সুবিধা হবে। সম্প্রতি সরকারের দুই দফতরের শীর্ষ আধিকারিক ও ইউনিসেফের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্য সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী। খুব তাড়াতাড়ি নতুন এই ব্যবস্থা যাতে চালু হয়, সেই উদ্যোগই নিচ্ছে রাজ্য সরকার।