বীরভূমের তারাপীঠ মহাশ্মশানে বেআইনি নির্মাণের অভিযোগে এবার মামলা গড়াল কলকাতা হাইকোর্টে। এই অভিযোগ তুলে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছে। বুধবার এ বিষয়ে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন মামলাকারীর আইনজীবী। তিনি দ্রুত মামলার শুনানির আর্জি জানান।
আরও পড়ুন: পান্ডার মাধ্যমে পুজো দিলে মিলবে হোটেল, তারাপীঠে নয়া ফতোয়ায় তুমুল আলোড়ন
স্থানীয়দের একাংশের অভিযোগ, তারাপীঠ মহাশ্মশানে বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের সমাধিস্থল রয়েছে। সেই সমাধিস্থলেই নাকি এই নির্মাণ করা হচ্ছে। সেখানে নোংরা জল সংগ্রহের জন্য কংক্রিটের স্থায়ী নির্মাণ করা হচ্ছে। খোঁড়াখুঁড়িও শুরু হয়ে। পরে এ নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করে বিজেপি। তারপরে বিজেপির আপত্তিতে সেখানে নির্মাণের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ হয়েছে। অভিযোগ উঠেছে, তারাপীঠ রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের তরফে এই নির্মাণ করা হচ্ছে। বিজেপির অভিযোগ, সমাধিস্থলের উপরে নির্মাণ করে বৈষ্ণব সম্প্রদায়কে হেয় করা হচ্ছে।
জানা গিয়েছে, তারাপীঠের প্রধান রাস্তার দুই ধার এবং পাণ্ডা পাড়ার নোংরা জল মজুত রাখার জন্য তারাপীঠ শ্মশানে একটি রিজার্ভার নির্মাণ করা হচ্ছে। পরে সেই জল পরিস্রুত করে দ্বারকা নদীতে ফেলার পরিকল্পনা রয়েছে। তারাপীঠ-রামপুরহাট উন্নয়ন পর্ষদের তরফে দাবি করা হয়, পরিবেশ আদালতের নির্দেশে এই কাজ হচ্ছে। তবে এর তীব্র বিরোধিতা করে বিজেপি। তাদের দাবি, এর ফলে শ্মশানের পবিত্রতা নষ্ট হচ্ছে।
এর আগে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি বিজেপি বিক্ষোভ দেখালে রিজার্ভারের জন্য তৈরি গর্তও বুজিয়ে দেওয়া হয়। তখনই বিজেপি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিল, পুনরায় কাজ শুরু হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে। পরে আবার সেখানে কাজ শুরু হতেই বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। গত ৬ মার্চ বিজেপির বিক্ষোভকে ঘিরে কার্যত উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এবার এ নিয়ে মামলা গড়াল হাইকোর্টে।
মামলাকারী দাবি করেছেন, মন্দিরের পাশে শুধুমাত্র শ্মশান আছে। অন্য কোনও নির্মাণ নেই। সেখানে নির্মাণ করে পবিত্রতা নষ্ট করা হচ্ছে। এ বিষয়ে আদালত যেন নির্মাণকাজ বন্ধের নির্দেশ দেয়, সে বিষয়ে আবেদন জানিয়েছেন তিনি। জানা যাচ্ছে, এই মামলার শুনানি চলতি সপ্তাহে হতে পারে।