চাকরি চুরির অভিযোগকে কেন্দ্র করে ভুরি ভুরি অভিযোগ তৃণমূলের নেতাদের বিরুদ্ধে। তবে এবার চাকরি চুরি নিয়ে টাকা তোলার অভিযোগ খোদ পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে। একেবারে কলকাতা পুলিশের অ্য়াসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার পদমর্যাদার এক আধিকারিকের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। কলকাতা পুলিশে কর্মরত ওই আধিকারিক। তার বিরুদ্ধেই এই ভয়াবহ অভিযোগ।
বুধবার এই সংক্রান্ত মামলা হাইকোর্টে উঠেছিল। গোটা ঘটনার তদন্তভার সিআইডির হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি এই ঘটনায় একাধিক পুলিশকর্মীর নামও জড়িয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল ঘটনাটি? অভিযোগটা কী?
সূত্রের খবর, ২০২১ সালে কলকাতা পুলিশের অ্য়াসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদে কর্মরত ছিলেন ওই অভিযুক্ত ব্যক্তি। তিনি বরাহনগরের দুই ভাইবোনের থেকে প্রায় ৩০ লাখ টাকার উৎকোচ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ। কলকাতা পুরসভায় একজনকে চাকরি করিয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়েছিলেন তিনি। অপরজনকে পানশালার লাইসেন্স পাইয়ে দেওয়ার লোভ দিয়েছিলেন। পরে ওই পুলিশ কর্তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই ভাইবোন।
পরে পুলিশ কৌস্তভ নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। এরপরই নতুন ছক ফেঁদে ফেলে পুলিশ। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে ব্যারাকপুর কমিশনারেটের গোয়েন্দারা তাকে বেধড়ক মারধর করে বলে অভিযোগ। তবে অভিযোগ উঠেছে পুলিশ সব জায়গাতেই প্রভাব বিস্তার করা শুরু করে। এদিকে ওই পদস্থ পুলিশ কর্তা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনও পেয়ে যান।
তবে অভিযুক্ত ওই যুবকের স্ত্রী ঘটনার বিচার চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। কেন তার স্বামীকে এভাবে মারধর করা হয়েছিল সেই প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। তবে এবার সেই মামলার জেরে কড়া নির্দেশ দিল আদালত। গোটা ঘটনার তদন্তভার এবার যাচ্ছে সিআইডির হাতে।
তবে সূত্রের খবর, ওই পুলিশ কর্তা নবান্নতে কর্মরত। পদমর্যাদার দিক থেকেও তিনি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সেই পদে থেকে যেভাবে তার বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে টাকা তোলার অভিযোগ উঠেছে তার জেরে রাজ্য সরকারের অন্দরেও এনিয়ে চর্চা চলছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক লোকজন জড়িয়ে রয়েছেন কি না তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে।