আবার ধর্ষণের ঘটনাস্থল বানতলা। এখানের নির্মীয়মাণ বহুতল থেকে উদ্ধার হয়েছে তরুণীর দেহ। অনুমান করা হচ্ছে, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে তরুণীকে। তাঁর গলায় আঘাতের চিহ্ন মিলেছে। শ্বাসরোধ করে মারতে গিয়েই এই ক্ষতচিহ্ন তৈরি হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। লেদার কমপ্লেক্স থানার পুলিশ তরুণীর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এখানের আইটি হাবের পাশেই রয়েছে নির্মীয়মাণ বহুতল। সেখানে তরুণী কিভাবে গেল, কে বা কারা নিয়ে গেল উঠেছে প্রশ্ন। স্থানীয় সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার এখানে কর্মরত মিস্ত্রিরা তরুণীর দেহ পড়ে থাকতে দেখে আশেপাশের বাসিন্দাদের ডেকে আনেন। তখন তাঁরাই লেদার কমপ্লেক্স থানায় খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে দেহ উদ্ধার করে। তারপর তা এনআরএস মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে তরুণীর দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেন।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিকভাবে খুন মনে হলেও ময়নাতদন্তের রিপোর্ট ছাড়া নিশ্চিতভাবে কিছু বলা সম্ভব নয়। ওই রিপোর্টেই বোঝা যাবে ধর্ষণ করা হয়েছিল কিনা। তবে ওই তরুণীর গলায় মিলেছে শ্বাসরোধ করার চিহ্ন। ওই আঘাতের চিহ্ন শ্বাসরোধ করে মারলেই হয়। শুধু তাই নয়, তাঁর শরীরের একাধিক জায়গায় মিলেছে নখের আঁচড়ের দাগ। আর পোশাকও ছেঁড়া ছিল।
এই ঘটনা সামনে আসতেই প্রশ্ন উঠছে, তরুণীকে ওই বহুতলেই খুন করা হয়েছে? নাকি অন্য কোথাও খুন করে এখানে দেহ ফেলা হয়েছিল? প্রমাণ লোপাটের জন্যই কী এই কাজ? এই তরুণীকে কী ধর্ষণ করা হয়েছিল? পুলিশ আপাতত এই প্রশ্নগুলির উত্তর খুঁজছে। ইতিমধ্যেই তদন্তের স্বার্থে পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি করা হয়।