বাগুইআটির আমবাগান এলাকায় সদ্য বিবাহিতার রহস্যমৃত্যু ঘটেছে। এখানের বহুতলের নীচ থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় যুবতী গৃহবধূর দেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রতিবেশীদের দাবি, পাঁচতলার ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয়েছে। সদ্য বিবাহিতা যুবতীকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। এই ঘটনায় তাঁর স্বামীকে আটক করেছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ।
কী তথ্য পেয়েছে পুলিশ? পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের নাম তিতাস নন্দী (২৮)। মাসখানেক আগে রেজিস্ট্রির পর, স্বামীর সঙ্গে বহুতলের একতলায় ভাড়া থাকতেন এই যুবতী গৃহবধূ। তবে বিয়ের পর থেকেই অশান্তি চলছিল তাঁদের মধ্যে। এটা খুন না আত্মহত্যা তা খতিয়ে দেখছে নাগেরবাজার থানার পুলিশ। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ময়নাতদন্তের জন্য আরজি কর হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
ঠিক কী ঘটেছে বাগুইআটিতে? স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার রাতে পাঁচতলার ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়ায় মহিলার মৃত্যু হয়। একতলার বাসিন্দা পাঁচতলায় যাওয়ার পিছনে নিশ্চয়ই কোনও কারণ আছে। সেই কারণ জানা প্রয়োজন। রাতের দিকে কিছু পড়ার আওয়াজ মিললেও কেমন গুরুত্ব দেননি কেউ। কিন্তু শনিবার সকালে গৃহবধূর মৃতদেহ প্রকাশ্যে আসতেই আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
আর কী জানা যাচ্ছে? সূত্রের খবর, এই গৃহবধূর সদ্য বিবাহ হলেও তাঁর স্বামী অন্য একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। এই নিয়েই তাঁদের মধ্যে অশান্তি চলত নিত্যদিন। তিতাসের এক বান্ধবীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল বলে অভিযোগ। গোপনে তাঁরা কোথাও সফরে গিয়েছিলেন বলে জানতে পারে তিতাস। তা নিয়ে সম্পর্কের অবনতি হয়। সেই কারণে গৃহবধূ তিতাসকে সরিয়ে দেওয়া হল কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।