রূপান্তরকামী তরুণকে মারধরের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল কাঁকুড়গাছির একটি বেসরকারি নার্সিংহোম। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পড়ে যায়। অভিযোগ, ওই নার্সিংহোম গোপনাঙ্গ প্রতিস্থাপনে ভুল অস্ত্রোপচার করেছিল। তারই প্রতিবাদ করা হয়েছিল। পরিবর্তে মারধর জুটল কপালে। এই নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন মালদহের বাসিন্দা রূপান্তরকামী তরুণ। এমনকী মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠল স্বাস্থ্যকর্মীদের বিরুদ্ধে।
এই বেসরকারি নার্সিংহোমে সিড ঠাকুর নামে ওই রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। সেখানেই তাঁকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী এই কাজে জড়িত বলেও অভিযোগ উঠেছে। সিড ঠাকুরের বাবা সঞ্জীবন ঠাকুরের অভিযোগ, গত ১৮ অগস্ট থেকে চারবার অস্ত্রোপচার করেও রূপান্তরকামী–পুরুষের গোপনাঙ্গ সঠিক প্রতিস্থাপিত করা যায়নি। পাঁচ লক্ষ টাকা খরচ হয়ে গেলেও সন্তানের চিকিৎসা কেন সঠিকভাবে হল না? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সঞ্জীবন ঠাকুর। তাঁর অভিযোগ, সন্তানের কথা বলা প্রায় বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তাঁকেও মারধর করা হয়েছে।
আক্রান্ত সিড তাঁর বাবাকে জানান, তাঁর হাতের কাটা অংশে জোর করে চাপ দেওয়া হয়। বুকে ধাক্কা দিয়ে বলা হয় ‘মরদ হয়েছিস, মরদের মত থাক।’ মাটিতে ফেলে দেওয়ায় আঘাত লাগে মাথায়। এমনকী কোমরে মারা হয়। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তিনি কথা বলতে পারছেন না। রূপান্তরকামীকে এভাবে মারধর করার ঘটনা সামনে আসায় আলোড়ন পড়ে গিয়েছে।
এই বিষয়ে হাসপাতালের পক্ষ থেকে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। পরিবার সূত্রে খবর, তাঁর বয়স ২৩ বছর। তিনবার তাঁর লিঙ্গ সংস্থাপন করতে ব্যর্থ হন চিকিৎসকরা। সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে অপারেশন সফল হয়। কিন্তু তার আগে থেকে অকথ্য অত্যাচার সহ্য করতে হয়েছে। ক্ষতস্থানে বালিশ পর্যন্ত ছুঁড়ে মারা হয়েছে বলে অভিযোগ।