শিক্ষারত্ন পেয়েছিলেন হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুনীল কুমার দাস। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর মেমারির বাড়ি থেকে। পরিবারের দাবি তিনবছর ধরে পেনশন না পেয়ে তিনি অবসাদে ডুবে গিয়েছিলেন। তার জেরেই তিনি চরম পথ বেছে নেন। তাঁর স্ত্রী সাধনা দাস জানিয়েছেন, পেনশন না পেয়েই চিন্তায় ছিলেন স্বামী।
তবে এবার এই মৃত্যু নিয়ে মুখ খুলেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর পেনশন সংক্রান্ত বিষয়গুলি খতিয়ে দেখার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর সঙ্গেই তাঁর বিস্ফোরক অভিযোগ, শিক্ষারত্ন পাওয়ার ৬দিন পরেই তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগে তদন্ত শুরু হয়েছিল।
ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ২০১৯ সালে তাঁকে শিক্ষারত্ন দেওয়া হয়েছিল। ওই মাসেই তিনি অবসর নিয়েছিলেন। তবে শিক্ষারত্ন পাওয়ার ৬দিন পরে তাঁর ওনার নামে ভিজিলেন্স চলছিল। তার মধ্যেও ২০২১ সালে বিষয়টি যখন আমাদের কাছে আসে তখন আমরা আপৎকালীন পেনশন চালু করি। ফাইনাল রিপোর্ট কী আছে তা জানি না। আমরা গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য কমিটি তৈরি করেছি। দফতরকে বলেছি কবে অনিয়মের অভিযোগ হয়েছিল, কবে আপৎকালীন পেনশন হয়েছিল, কবে ফাইনাল রিপোর্ট জমা পড়েছিল তা দেখে রিপোর্ট দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।
তবে সংবাদমাধ্যমের একাধিক রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, সমস্ত অভিযোগ থেকে রেহাই পেয়েছিলেন ওই শিক্ষক। তারপরে কি তিনি নিয়মিত পেনশন পেতেন? তবে কি পেনশন সংক্রান্ত এই অনিয়মের সঙ্গে যুক্ত প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়?