উত্তর কলকাতার বড়তলা থানা এলাকার ছিদাম মুদি লেন। পুরানো বাড়ি। নির্জন দুপুরে বাড়িতে ছিলেন গৃহবধূ, শিশুসন্তান ও শাশুড়ি। এদিকে ওই বধূ পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন. আচমকাই একজন দুষ্কৃতী বাড়ির ভেতর ঢুকে পড়েছিল। ধারালো ছুরি ছিল তার হাতে। লুঠপাটের প্রতিবাদ করতেই একেবারে ছুরি দিয়ে হাতে কোপ মারে ওই দুষ্কৃতী। এরপর আলমারি খুলে ৮০ হাজার টাকা, সোনা, আমেরিকান হিরের গহনা নিয়ে চম্পট দেয় ওই দুষ্কৃতী। বধূর কাছে এই অভিযোগ শুনে নড়েচড়ে বসে পুলিশ।
শাশুড়ি সেই সময় কোথায় ছিল? বধূ উত্তর দিয়েছিলেন, পাশের ঘরে ছিলেন শাশুড়ি। তিনি বিষয়টি টের পাননি। তাছাড়া দরজা বন্ধ ছিল বলে দাবি বধূর। কিন্তু দুষ্কৃতী ঢুকেছিল কোন দরজা দিয়ে? ঘরে তো একটাই দরজা। এনিয়েই সন্দেহ দানা বেঁধেছে তদন্তকারীদের। তাছাড়া পুলিশ ওই বধূর আঘাতের দাগটিও ভালো করে খতিয়ে দেখছে। ওই বধূ কোনও গল্প সাজাচ্ছেন কি না সেটাও পুলিশ খতিয়ে দেখছে। দুষ্কৃতী ওই দরজা দিয়ে দোতলায় চলে এল. অথচ বাড়ির কেউ টের পেল না? দোতলার ঘরের ভেতর ঢুকে আলমারি খুলে চম্পট দিল দুষ্কৃতী, তবুও কেউ টের পেল না? এসব প্রশ্নের উত্তর খোঁজার চেষ্টা করছে ।