আবাস যোজনার সমীক্ষা নিজে রাজ্যজুড়ে বিক্ষোভের মধ্যেই এবার আবাস যোজনায় হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়ল রাজ্য সরকার। একই সঙ্গে বিডিওর বিরুদ্ধে ফৌজদারি প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রবিকিশান কাপুর। ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের এই ঘটনায় দুর্নীতির কথা আদালতে স্বীকার করেছে রাজ্য সরকার।
আবাস যোজনার বাড়ির জন্য ২০২১ সালে আবেদন করেছিলেন ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের ইটাখোলা গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা সিরাজুল মণ্ডলসহ ৫ জন। কিন্তু টাকা পাননি তাঁরা। প্রথমে পঞ্চায়েত থেকে তাদের জানানো হয়, টাকা আসেনি। পরে অন্যরা টাকা পেয়ে যাওয়ায় বলা হয় ঘর পাওয়ার যোগ্য নন তাঁরা। এর পর ওই আবেদনকারীরা জানতে পারেন, তাঁদের টাকা অন্যের অ্যাউন্টে চলে গিয়েছে।
প্রকল্পের সুবিধা থেকে তাঁদের অনৈতিকভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করে ২০২৩ সালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন ৫ জন। সেই মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। এদিন আদালতে রিপোর্ট পেশ করে রাজ্য সরকার। রিপোর্টে স্বীকার করা হয়, অভিযোগ সত্য। মামলাকারীদের টাকা অন্যের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে ঢুকেছে।
এর পরই রাজ্যের আইনজীবীকে তীব্র ভর্ৎসনা করেন বিচারপতি রবিকিশান কাপুর। তিনি বলেন, টাকার পা নেই। টাকা নিজে নিজে যেতে পারে না। টাকা অন্যের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হয়েছে তাই গিয়েছে। এটা ইচ্ছাকৃত জালিয়াতি। এই জালিয়াতির দায় পঞ্চায়েত ও বিডিওর। তাই অবিলম্বে বিডিওর বিরুদ্ধে ফৌজদারি প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। একই সঙ্গে বিডিও ও পঞ্চায়েত প্রধানের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বরও তলব করেছেন বিচারপতি।