বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > মানিকের নির্দ্বিধায় মিথ্যা বলার অভ্যাস রয়েছে: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

মানিকের নির্দ্বিধায় মিথ্যা বলার অভ্যাস রয়েছে: বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়

কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় 

সিবিআইয়ের এই রিপোর্ট দেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘এটা কোনও জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে? এর থেকে ভালো জিজ্ঞাসাবাদ তো আমি করতে পারি। হাইকোর্টের আইনজীবীরা এর থেকে ভালো জেরা করেন। তদন্ত শেষ করতে হবে তো? মানিক ভট্টাচার্যের নির্দ্বিধায় মিথ্যা বলার অভ্যাস রয়েছে।’

নির্দ্বিধায় মিথ্যা বলার অভ্যাস আছে মানিক ভট্টাচার্যের। বুধবার প্রাথমিক টেট দুর্নীতি সংক্রান্ত এক মামলার শুনানিতে এই মন্তব্য করলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এদিন মানিককে জিজ্ঞাসাবাদের পর আদালতে জমা দেওয়া সিবিআইয়ের রিপোর্টে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বিচারপতি। বলেন, আমি এর থেকে ভালো জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি।

এদিন আদালতে রিপোর্ট দিয়ে সিবিআই জানায়, জিজ্ঞাসাবাদে মানিক ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, ২০১২ সালের টেটে ওএমআর সরবরাহের জন্য টেন্ডার ডাকা হয়েছিল। সেই টেন্ডার পায় এস বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানি। এস বসুরায় অ্যান্ড কোম্পানি ভালো কাজ করায় ও অন্য ২০১৪ সালে তাদেরই ফের বরাত দেওয়া হয়।

সিবিআইয়ের এই রিপোর্ট দেখে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘এটা কোনও জিজ্ঞাসাবাদ হয়েছে? এর থেকে ভালো জিজ্ঞাসাবাদ তো আমি করতে পারি। হাইকোর্টের আইনজীবীরা এর থেকে ভালো জেরা করেন। তদন্ত শেষ করতে হবে তো? মানিক ভট্টাচার্যের নির্দ্বিধায় মিথ্যা বলার অভ্যাস রয়েছে।’

এদিন বিচারপতি বলেন, ‘এত বেনিয়মের প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে যে ২০১৬ সালে টেটের নিয়োগ প্রক্রিয়ার পুরোটাই খারিজ হয়ে যেতে পারে। কিন্তু কোনও যোগ্য প্রার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হোন আমি চাই না। তাই তেমন কোনও নির্দেশ দেব না। কিন্তু দুর্নীতি ঢাকতে এখনো দালালরা বাজারে ঢুরে বেড়াচ্ছে’।

বিকাশবাবুকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আপনারা এত সাহায্য করছেন তার পরেও দুর্নীতির সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছি। দুর্নীতির সব নদী এসে সমুদ্রে মিশেছে। সিবিআই তো কিছুই করছে না।’

নিয়োগ দুর্নীতিতে সপরিবারে জেলবন্দি প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য।

 

 

বন্ধ করুন