অবশেষে জেল থেকে বের হলেন। তিনি টালা থানার তৎকালীন ওসি। যেদিন সিবিআই তাঁকে গ্রেফতার করেছিলেন সেদিন তাঁকে দেখা গিয়েছিল একেবারে বিধ্বস্ত অবস্থায়। আর শুক্রবার যখন জেল থেকে বের হলেন তখনই বোঝা গেল কার্যত ঝড় বয়ে গিয়েছে তার উপরে। তিনি অভিজিৎ মণ্ডল।
প্রায় ৯০ দিন পরে জেলমুক্তি।সামনেই বড়দিন। তার আগে জেল থেকে ছাড়া পেলেন তিনি। চশমার ওপারে চোখের কোণায় কি কোথাও জল টলটল করছে? তবে তিনি এদিন বাইরে এসে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কোনও কথা বলেননি। সোজা গিয়ে আইনজীবীর গাড়িতে উঠে পড়েন।
বিকালে রায় ঘোষণা হয়েছিল। জামিন পেয়েছেন সন্দীপ ঘোষ ও অভিজিৎ মণ্ডল। কিন্তু সন্দীপ বাইরে বের হতে পারবেন না। কারণ তাঁর উপর অন্য মামলা রয়েছে। তবে জামিন পেলেন অভিজিৎ মণ্ডল। সন্ধ্যাতেই আদালতের নীচে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। কাছেই ছিলেন স্ত্রী। সহকর্মী কয়েকজনও ছিলেন। পরে মুক্তি পাওয়ার পরে সম্ভবত বাড়ির দিকে রওনা দেন তিনি। বাড়িতে গিয়েই তিনি আর বের হননি বলেই খবর।
এদিকে অভিজিতের গ্রেফতারির পরে পুলিশ মহলের অন্দরে নানা চর্চা হচ্ছিল। এমনকী পদস্থ পুলিশ কর্তারা বিগত দিনে অভিজিৎ মণ্ডলের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছিলেন।
এর আগে সেপ্টেম্বর মাসে অভিজিৎ মণ্ডল আদালতে বলেছিলেন, ‘আমাকে কতদিন ধরে জেলে থাকতে হবে? অন্তর্বর্তী জামিন দিন। আমি পাবলিক সার্ভেন্ট পালিয়ে যাওয়ার জায়গা নেই। যে কোনও শর্তে জামিন চাইছি।’ অভিজিতের আইনজীবী বলেন, ‘সিবিআই যখনই তলব করেছে তখনই আমার মক্কেল হাজিরায় সাড়া দিয়েছে। ডিউটি নিয়ে কোনও প্রশ্নও তোলা হয়নি। এমনকী ৪১ নোটিশও দেওয়া হয়নি।’
অবশেষে জামিন পেলেন তিনি। সেই সঙ্গে জামিন পেয়েছেন সন্দীপ ঘোষও।কিন্তু তিনি এখনই মুক্ত হতে পারেননি।
এদিকে বিশেষত সন্দীপ ঘোষের জামিন মেলার খবর ছড়িয়ে পড়তেই হতাশা ছড়িয়ে পড়ে জুনিয়র ডাক্তারদের অন্দরে। এমনকী এসএফআই নেতৃত্বও গোটা ঘটনায় নানা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন। সংবাদমাধ্যমে আরজি কর আন্দোলনের অন্যতম নেতা চিকিৎসক আসফাকুল্লা নাইয়া বলেন, জামিনের শর্তে বলা হয়েছে যখন ডাকবে তখন যেতে হবে। এনিয়ে আশা রাখছি যে যে জায়গাগুলি বলা দরকার ও প্রতিবাদ করা দরকার তা আমরা করব তাড়াতাড়ি। পরীক্ষার জন্য আমাদের কিছুটা অফ আছে। এই আন্দোলনটা আমরা চালিয়ে নিয়ে যাব। তবে অত্যন্ত হতাশ হয়েছি।
এদিকে এবার তাদের আন্দোলন কোন পথে যায় সেটাও দেখার।