২০২১ সালের বিধানসভার নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর কলকাতার বেলেঘাটায় নৃশংস ভাবে খুন করা হয়েছিল বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে। সেই ঘটনায় ফের একবার সিবিআই-এর তরফে তলব করা হয়েছিল বেলেঘাটার তৃণমূল বিধায়ক পরেশ পালকে। সেই তলবে সাড়া দিয়ে আজ সকালে সিজিও কমপ্লেক্সে পৌঁছান পরেশ। সকাল ১০টা নাগাদ আইনজীবীকে নিয়ে সিবিআই-এর স্পেশাল ক্রাইম ব্রাঞ্চে যান তৃণমূল বিধায়ক। এদিকে আজকে সাংবাদিকরা তাঁকে প্রশ্ন করতে গেলে তাঁর মুখে বিরক্তির ছাপ ফুটে ওঠে। একটি সংবাদমাধ্যমের বুম তিনি হাত দিয়ে ঠেলে সরিয়েও দেন। সিবিআই অফিসে ঢোকার আগে একটি শব্দও তিনি উচ্চারণ করেননি ক্যামেরার সামনে।
অভিযোগ ভোটের ফলাফল বের হওয়ার দিনই অভিজিৎ সরকারকে কাঁকুরগাছিতে নৃশংসভাবে ঘিরে ধরে খুন করা হয়েছিল। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূল পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অভিজিত্কে খুন করেছে। এদিকে মৃত বিজেপি কর্মীর দেহকে ঘিরেও নানা টানাপোড়েন চলেছিল। কম্যান্ড হাসপাতালের মর্গে থাকা দেহ প্রসঙ্গে পরিবারের দাবি ছিল, বিকৃত ওই দেহ অভিজিতের নয়। পুলিশ এবং হাসপাতালের বিরুদ্ধে দেহ সঠিক ভাবে সংরক্ষণ না করার অভিযোগ ওঠে। এরপরই বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট। নির্দেশ অনুযায়ী দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্তও হয় অভিজিতের।
২ মে ভোট গণনার সন্ধ্যায় বেলেঘাটায় বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারকে পিটিয়ে মারে দুষ্কৃতীরা। এমনকী তার পোষ্য কুকুরটিও রক্ষা পায়নি। ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনার তদন্তে নেমে সিবিআইয়ের গোয়েন্দারা একাধিকবার অভিজিৎ সরকারের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলতে তাঁদের বাড়িতে গিয়েছেন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তথ্য প্রমাণ জোগাড় করে ২০ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে।