Abhishek Banerjee: ‘গলা কেটে নিলেও জয় বাংলা বলব’ একুশের মঞ্চ থেকে BJP-কে নিশানা করে গর্জন অভিষেকের

লোকসভা নির্বাচনের আগে কয়লা কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মামলায় বারবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, শালিকাকেও তলব করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। এমনকী অভিষেকের বৃদ্ধ বাবা মাকেও তলব করা হয়েছিল।

চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনের পরেই সাময়িক বিরতি নিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রায় দেড় মাস ধরে তাঁকে দলের কোনও কর্মসূচিতে দেখা যায়নি। এমনকী চারটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনেও দেখা যায়নি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে। বিরতির পর একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে বিজেপি থেকে শুরু করে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় এজেন্সির বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন অভিষেক। যতই ভয় দেখানো হোক না কেন তিনি যে কখনও বিজেপির কাছে মাথা নত করবেন না সে বিষয়ে স্পষ্ট হুংকার দিলেন একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে। বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করে তিনি জানিয়েছেন, গলা কেটে নিলেও তাঁকে জয় বাংলা বলা কেউ বন্ধ করতে পারবে না।

লোকসভা নির্বাচনের আগে কয়লা কেলেঙ্কারি থেকে শুরু করে বিভিন্ন মামলায় বারবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে তলব করেছে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থা। তাঁর স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায়, শালিকাকেও তলব করেছিল কেন্দ্রীয় সংস্থা। এমনকী অভিষেকের বৃদ্ধ বাবা মাকেও তলব করা হয়েছিল। সেই প্রসঙ্গে এদিন একুশের মঞ্চ থেকে বিজেপি এবং কেন্দ্রীয় সংস্থাকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করে অভিষেক বলেন, ‘তারা বহু চেষ্টা করেছে। আমাকে, আমার বয়স্ক মা বাবা, স্ত্রী, এমনকী ছোট্ট পুত্র-কন্যা সন্তান কাউকে হেনস্তা করতে ছাড়েনি। কিন্তু আমি বলেছি গলা কেটে নিলেও জয় বাংলা বলব। তৃণমূল কংগ্রেস জিন্দাবাদ বলব।’ তৃণমূল কংগ্রেস কোনওভাবেই যে বিজেপির কাছে নতি স্বীকার করবে না সে প্রসঙ্গে আরও ব্যাখ্যা করতে গিয়ে অভিষেক বলেন, ‘তৃণমূল কংগ্রেস হল বিশুদ্ধ লোহা। যত গলাবে তত বেশি শক্তিশালী হয়ে উঠবে।’

লোকসভা ভোটের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে নিশানা করে অভিষেক বলেন, ‘দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দলের নাম তৃণমূল কংগ্রেস। যারা বলেছিল তৃণমূলকে সাফ করবে তারাই আজ সাফ হয়ে গিয়েছে। এত চেষ্টা করেও আমাকে বিজেপির কাছে মাথা নত করাতে পারেনি। পরিবারের কাউকে হেনস্তা করতে ছাড়েনি। তৃণমূল জনগণে বিশ্বাসী, স্বৈরাচারী শক্তিতে নয়। চব্বিশের নির্বাচনে তৃণমূলের ঐতিহাসিক জয়ের কারিগর দলের প্রত্যেক সৈনিক। বিজেপিকে বাংলা থেকে ধুয়ে মুছে সাফ করে দেখিয়েছি। আত্মতুষ্টির কোনও জায়গা নেই।’