বেশ কিছু শব্দ ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে লোকসভার সচিবালয়। সেই সমস্ত অসংসদীয় শব্দের তালিকা নিয়ে এবার বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তিনি ‘স্বৈরাচারী’ বলে কটাক্ষ করেছেন। তার প্রশ্ন, ‘যদি বিরোধীদের মত প্রকাশে স্বাধীনতা নাই থাকে তাহলে পার্লামেন্টের অধিবেশন ডাকারই বা কী প্রয়োজন ছিল?’
তিনি বলেন, ‘দুর্নীতি শব্দটা কি অসংসদীয় শব্দ! আমরা কী বলব, তা কি ওঁরা ঠিক করে দেবেন? ব্রিটিশ শাসনে ভারতের মানুষ এতটা পরাধীন ছিলেন না, যা আজকের দিনে এই সরকারের আমলে হয়েছে। সরকার চলছে একেবারে স্বৈরতান্ত্রিক কায়দায়।’ প্রসঙ্গত, লোকসভার সচিবালয় অসংসদীয় শব্দের একটি বুকলেট তৈরি করেছে যা সাংসদদের বিলি করা হয়েছে। এই বুকলেট অনুযায়ী, ‘লজ্জাজনক’, ‘জুলুমবাজী’, ‘বিশ্বাসঘাতক’, ‘দুর্নীতি’, ‘তানাশাহ’ প্রভৃতি শব্দকে অসংসদীয় শব্দ হিসেবে অ্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।ইংরেজি এবং হিন্দিতে তো বটেই এমনকি স্থানীয় বা আঞ্চলিক ভাষাতেও এই সমস্ত শব্দ বলা যাবেনা বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে। যদিও লোকসভার স্পিকার জানিয়েছেন এই সমস্ত শব্দকে অসংসদীয় বলে ঘোষণা করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সংসদ ভবনের ছাদে বসানো জাতীয় প্রতীক বিতর্ক নিয়েও মোদী সরকারকে আক্রমণ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘সংসদ ভবনের ছাদে বসানো এই জাতীয় প্রতীকের উদ্বোধন করা উচিত ছিল রাষ্ট্রপতির, প্রধানমন্ত্রীর নয়। লোকসভা এবং রাজ্যসভার অধিবেশন ডাকার ক্ষমতা রয়েছে রাষ্ট্রপতির। ওরা বলছে যে ওরা তপশিলি জাতি সম্প্রদায়ের প্রার্থীকে রাষ্ট্রপতি করতে চান। কিন্তু, তারা রাষ্ট্রপতি বা রাষ্ট্রপতি পদকে সম্মান করে না।’