ইদানিং ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের এক্স হ্যান্ডেল খুললেই দেখা যায় সেবাশ্রয় ক্যাম্পে কত মানুষের চিকিৎসা হয়েছে তারই বিস্তারিত বিবরণ। কার্যত ডায়মন্ডহারবারের স্বাস্থ্যক্ষেত্রে একেবারে বিপ্লব! একদিকে যখন রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় একের পর এক অব্যবস্থার অভিযোগ তখনই অভিষেকের এই সেবাশ্রয় যেন বহু অসহায় মানুষের কাছে বিরাট আশ্রয়। তবে কি রাজ্য সরকারের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমান্তরাল কোনও সিস্টেম তৈরি করে কীভাবে ভালো পরিষেবা দেওয়া যায় তারই নজির তৈরির চেষ্টা চলছে? নাকি এটাও একরকমের প্রতিযোগিতা? সেবাশ্রয় চালিয়ে কি রাজ্যকে পরোক্ষে দেখানো হচ্ছে কীভাবে স্বাস্থ্য় পরিষেবা দিতে হয়?
ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, 'আমি আশাবাদী আজকের এই ডায়মন্ড হারবার মডেল আগামী দিন দেশকে পথ দেখাবে। সকলের জীবনে আলোর দিশারি হয়ে কাজ করবে। আমৃত্যু আমি এইভাবেই গণদেবতার সেবায় নিযুক্ত থাকব। এই আমার প্রতিজ্ঞা।'
গত ২রা জানুয়ারি থেকে ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রে এই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত কর্মসূচি চলছে। আগামী ২০ মার্চ পর্যন্ত এই কর্মসূচি চলবে। অনেকেই বলছেন এটাই নাকি ডায়মন্ডহারবার মডেল। এমনকী রাজ্যের স্বাস্থ্য় ব্যবস্থার সঙ্গেই এই ডায়মন্ডহারবার মডেল সমান্তরাল একটা সিস্টেম বলেও উল্লেখ করছেন অনেকে। তবে এবার অভিষেক নিজেই এই যাবতীয় সংশয় দূর করেছেন। রাজ্যের স্বাস্থ্য় ব্যবস্থার সঙ্গে যে ডায়মন্ডহারবারের এই স্বাস্থ্য শিবিরের তুলনা টানা ঠিক নয় বলেও দাবি করছেন তিনি।
বুধবার ফলতায় এই ধরনের একটি স্বাস্থ্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন অভিষেক। সেখানেই তিনি যাবতীয় সংশয় দূর করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, সেবাশ্রয়ের মাধ্যমে স্বাস্থ্য পরিষেবাকে মানুষের দুয়ারে পৌঁছে দিতে চান। তবে তা কখনওই রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিষেবার সঙ্গে তুলনা করা ঠিক নয়। তিনি জানিয়েছেন, গত ১৩ বছরে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতিতে অনেক কাজ করেছে। তৈরি হয়েছে অনেকগুলো সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। আছে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড। যার মাধ্যমে মানুষ বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবা পান। সেই সঙ্গেই কেন্দ্রের আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্পের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, আয়ুষ্মান প্রকল্পে সুবিধা পেতে হলে কয়েকটি শর্ত রয়েছে। স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিঃশর্তে মেলে।
অভিষেক বলেন, রাজ্য সরকার তার মতো যথেষ্ট করেছে। আমি আমার মতো করে চেষ্টা করেছি।
সেই সঙ্গে সেবাশ্রয় ক্যাম্পের নানা দিক তিনি তুলে ধরেন। অভিষেক বলেন, আমি চেষ্টা করেছি প্রত্যেক গ্রাম পঞ্চায়েতে চারটে করে ক্যাম্প করার। একটা গ্রাম পঞ্চায়েতে ২৫টা বুথ হলে প্রতি ৬-৭টা বুথ পিছু একটা করে ক্যাম্প করেছি। রাজ্য সরকারের আরও ব্যবস্থা রয়েছে। সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, হয়তো একটা গ্রাম পঞ্চায়েতে একটা হাসপাতাল আছে। আমি চেষ্টা করেছি একটা গ্রাম পঞ্চায়েতে চারটে করে ক্যাম্প করার।