নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এবার তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে ১৩ জুন ইডির তলব। মঙ্গলে তলব করা হল অভিষেককে। শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তলব করা হয়েছে অভিষেককে। সূত্রের খবর, কুন্তলের চিঠি সহ একাধিক বিষয়কে সামনে রেখে প্রশ্ন তৈরি করা হচ্ছে অভিষেকের জন্য। মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছে। ১৪ তারিখ পর্যন্ত ইডির হেফাজতে থাকবেন কালীঘাটের কাকু সুজয় কৃষ্ণ ভদ্র। তার আগেই অভিষেককে ডেকে পাঠাল ইডি। সূত্রের খবর।
২০ মে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অভিষেককে। সেবার তাঁকে সিবিআই ডেকে পাঠিয়েছিল। সেদিন প্রায় ৯ ঘণ্টা ৪০ মিনিট পর তিনি বেরিয়ে এসেছিলেন। এবার ফের সিজিও কমপ্লেক্সে অভিষেককে ডেকে পাঠাল ইডি।
তবে এর আগে মূলত কুন্তল ঘোষের চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অভিষেককে। তবে এবার আর শুধু কুন্তল ঘোষের প্রসঙ্গ নয়, একাধিক হাতে গরমে তথ্যের ভিত্তিতে অভিষেককে ডেকে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। বাংলার একাধিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে ১৩ জুন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তলব করেছে ইডি। সবরকম প্রস্তুতি চলছে এনিয়ে।
এদিকে প্রশ্ন উঠেছে তবে কি কালীঘাটের কাকুর সঙ্গে মুখোমুখি বসানো হবে? সেই প্রশ্নের উত্তর মিলতে পারে মঙ্গলবারই। তবে বৃহস্পতিবারই সিজিও কমপ্লেক্সে জেরার মুখে পড়েছিলেন অভিষেকের স্ত্রী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। আর সেই সন্ধ্যাতেই সামনে এল এবার অভিষেককে নোটিশ পাঠিয়েছে ইডি।
এদিকে সূত্রে খবর, আমার স্ত্রীকে ছাড়ার ১৫ মিনিট পরে নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ইডি সিবিআইয়ের আধিকারিকদের উপর আমার কোনও ক্ষোভ নেই। তবে আমি বলেছিলাম নবজোয়ার যাত্রার পরে আমি হাজির হব।
তবে বিরোধীদের দাবি, এর আগে বার বার অভিষেক জানাতেন আমি সব সময় সহযোগিতা করব। এমনকী ফাঁসি দেওয়ার কথাও জানিয়েছিলেন তিনি। তবে এবার তিনি যাওয়ার ব্যাাপরে ইতিবাচক কিছু জানাননি। প্রসঙ্গত বর্তমানে নবজোয়ার যাত্রায় রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।