বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Abhishek Banerjee: কুন্তলের চিঠি নিয়ে ED, CBI জেরা করতে পারবে অভিষেককে, জানালেন বিচারপতি সিনহা

Abhishek Banerjee: কুন্তলের চিঠি নিয়ে ED, CBI জেরা করতে পারবে অভিষেককে, জানালেন বিচারপতি সিনহা

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। (ফাইল ছবি) (PTI)

বিচারপতি অমৃতা সিনহা আজ জানিয়ে দিলেন যে ইডি এবং সিবিআই কুন্তলের চিঠি নিয়ে অভিষেককে জেরা করতে পারবে। এর আগে এই মামলায় অভিষেককে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। এদিকে এর আগে এই মামলায় অভিষেককে রক্ষাকবচও দেননি বিচারপতি সিনহা।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষের চিঠিতে উল্লেখ ছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সেই প্রেক্ষিতে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন, অভিষেককে ইডি ও সিবিআই জেরা করতে পারবে। তবে সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে স্বস্তি পেয়েছিলেন অভিষেক। সেই মামলার এজলাস বদল হয়। তবে এজলাস বদলালেও নির্দেশ একই থেকে গেল। বিচারপতি অমৃতা সিনহা আজ জানিয়ে দিলেন যে ইডি এবং সিবিআই এই চিঠি নিয়ে অভিষেককে জেরা করতে পারবে। এর আগে এই মামলায় অভিষেককে যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি সিনহা। এদিকে এর আগে এই মামলায় অভিষেককে রক্ষাকবচও দেননি বিচারপতি সিনহা।

এর আগে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছিলেন যে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরা করতে পারবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্তকারী অফিসাররা। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে গিয়ে স্বস্তি পেয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গতবছর এবিপি আনন্দে দেওয়া বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারকে তুলে ধরে অভিষেকের তরফে দাবি করা হয়েছিল, অভিষেকের প্রতি তাঁর বিরূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে এই সাক্ষাৎকারে। তাই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় পক্ষাপাতিত্বের জেরে এই নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই মামলা সুপ্রিম নির্দেশে সরে যায় বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। এখন সেই মামলার শুনানি হচ্ছে বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে। এখানেও বিচারপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে কেন্দ্রীয় সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে বলেছিলেন। পাশাপাশি অভিষেককে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এদিকে নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় যুক্ত হতেই মামলা থেকে অব্যহতি চেয়ে আদালতে আবেদন করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তাঁর সেই আবেদন খারিজ হয়ে গেল। 

এর আগে যুব তৃণমূলের সমাবেশে অভিষেক দাবি করেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতিতে তাঁর নাম বলানোর জন্য ধৃতদের ওপর চাপ দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। এরপরই কুন্তল ঘোষ প্রেসিডেন্সি জেলের সুপারের মাধ্যমে চিঠি দিয়ে হেস্টিংস থানায় অভিযোগ জানান যে তাঁকে দিয়ে অভিষেকের নাম বলানোর জন্য চাপ দিচ্ছে ইডি, সিবিআই। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, দ্রুত কুন্তল ও অভিষেককে জেরা করা উচিত তদন্তকারীদের। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে যান অভিষেক। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকারের বিষয়টি তুলে ধরেন অভিষেকের আইনজীবী। বলা হয়, বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় যে সাক্ষাৎকার দিয়েছিলেন, তাতে অভিষেকের প্রতি তাঁর বিরূপ মনোভাব ফুটে উঠেছে। সেই মামলার প্রেক্ষিতে সেই নিয়োগ দুর্নীতি সংক্রান্ত মামলাটি সরানো হয়েছে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাস থেকে। সুপ্রিম নির্দেশিকার পর বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে মামলার ফাইল চেয়ে পাঠায় কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির কার্যালয়। পরে সেই ফাইল বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে পাঠানো হয়। সেই মামলার প্রেক্ষিতেই চরম অস্বস্তিতে পড়লেন অভিষেক।

 

বন্ধ করুন