চোখের চিকিৎসা করিয়ে ফেরার পর ফের পুরোদমে সংগঠনের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। গত লোকসভা ভোটে বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে দলের হার নিয়ে বুথ ভিত্তিক সমীক্ষা করে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একটি রিপোর্ট পাঠিয়েছেন অভিষেক। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে একাধিক কেন্দ্র হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের। তাই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছেন অভিষেক।
আরও পড়ুন: স্ত্রী বিয়োগে অসহায় ক্যানসার আক্রান্ত বৃদ্ধ ও তাঁর পরিবার, সাহায্য অভিষেকের
ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেকের পাঠানো রিপোর্টে উঠে আসা বেশ কয়েকটি কেন্দ্রের মধ্যে রয়েছে বালুরঘাট, বিষ্ণুপুর এবং পুরুলিয়ার মতো কেন্দ্র। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণে এই সমস্ত কেন্দ্রগুলিতে অল্প ভোটের ব্যবধানে হেরেছে তৃণমূল। উল্লেখ্য, পুরুলিয়ায় জ্যোতির্ময় সিং মাহাত ১৭ হাজার ০৭৯ ভোটে জিতেছেন। বিষ্ণুপুরে বিজেপির সৌমিত্র খাঁ জিতেছেন ৫ হাজার ৫৬৭ ভোটে। আর বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার বালুরঘাটে ১০ হাজার ৩৮৬ ভোটে জিতেছেন। রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই হারের দায় নিতে হবে সকলকে।
অভিষেকের পাঠানো রিপোর্ট অনুযায়ী, কোথাও পুর এলাকায় চেয়ারম্যানকে টাউন সভাপতি ভুল তথ্য দিয়েছেন আবার কোথাও জনপ্রতিনিধির সঙ্গে বুথ সভাপতি খারাপ সম্পর্ক ভোটে প্রভাব ফেলেছে। আর এই সমস্যার কারণেই বিভিন্ন কেন্দ্রে খারাপ ফল হয়েছে। বিশেষ করে পুর এলাকায় ফল বেশি খারাপ হয়েছে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বার্তা, এই হারের দায় শুধু একজনের নয়, সকলকে এই দায় নিতে হবে। শুধুমাত্র একজন সমস্যা তৈরি করবেন আর তার ফল ভুগতে হবে গোটা দলকে তা হতে দেওয়া যাবে না।
পড়ুন: সাংসদ-কন্যাকে ধর্ষণের হুমকিতে উস্কানির ঘটনায় সিবিআই তদন্তে ‘সুপ্রিম’ স্থগিতাদেশ
তৃণমূল সূত্রের খবর, প্রতিটি বুথের উপর ভিত্তি করে এই রিপোর্ট তৈরি করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর সেটি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠিয়েছেন। তিনি গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব রুখতে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সুপারিশ করেছেন। দলের অনেকের বক্তব্য, এবার উপ নির্বাচন মিটলেই সংগঠনে দলে বড়সড় রদবদল করতে পারে তৃণমূল কংগ্রেস। রাজনৈতিক মহলের মতে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নির্মূল করে আগামী বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ণ শক্তিতে ঝাঁপিয়ে পড়তে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস।