ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবস উজ্জাপনের মঞ্চ থেকে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে বেনজির আক্রমণ করলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার দুপুরে কলকাতার মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে শুভেন্দুকে নাম নিয়ে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, ‘বেইমান, গদ্দার, ঘুষখোর শুভেন্দু অধিকারী।’
এদিন অভিষেক বলেন, ‘আজকে বিজেপির নেতারা ঢাক পিটিয়ে বলছে, আমরা বলেছি বলে বাংলার পাওনা কেন্দ্র থেকে বন্ধ করে দিয়েছে। তার মানে কি তোমরা চাও না, বাংলার মানুষ ঘর পাক, মানুষের পাড়ায় রাস্তা হোক, বাংলার মানুষের মাথার ওপর ছাদ হোক, তোমরা চাও না ১০০ দিনের কাজ হোক? এরা তো স্বীকার করছে। আমি বলছি না। দিলীপ ঘোষ বলছে, সুকান্ত বলছে। আর গদ্দার শুভেন্দু অধিকারী’।
এর পর শুভেন্দুর মুন্ডুপাত করায় মন দেন অভিষেক। বলেন, ‘আর আমার নাম নিয়ে যখন কথা বলে, এরা কোনও দিন নাম নিতে পারে না। কেন না বুকের পাটা নেই। আমি নাম নিয়ে বলছি। বেইমান, গদ্দার, ঘুষখোর শুভেন্দু অধিকারী। তোমার বুকের যদি পাটা থাকে আমার বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করো। তোমার যদি বুকের পাটা থাকে, তুমি বলো তোলাবাজের নাম অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ১০ দিনের মধ্যে ল্যাজেগোবরে করে হাইকোর্টে না টেনে নিয়ে যেতে পারি আমি এক বাপের ব্যাটা না।’
অভিষেকের জন্মটা হয়েছে চোরের ঘরে, কার্তিক, বাবন সবগুলো এক একটা চোর: সৌমিত্র
অভিষেকের চ্যালেঞ্জ, ‘বল! পারবি ক্ষমতা আছে? ভাববাচ্যে তো সবাই বলে। ভাববাচ্যের ক্ষমতা কী? আমি নাম নিয়ে বলছি, দিলীপ ঘোষ গুন্ডা। সুকান্ত মজুমদার আর শুভেন্দু অধিকারী গদ্দার। এরা চায় বাংলাকে ভাগ করতে। এরা চায় বাংলাকে অশান্ত করতে। তোমার ক্ষমতা থাকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করবে’।
বলে রাখি, প্রায় রোজই ‘ভাইপো’ বলে সম্মোধন করে অভিষেককে আক্রমণ করে থাকেন শুভেন্দু। ‘ভাইপো’ শব্দ ব্যবহারের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃণমূল। কিন্তু লাভ হয়নি। বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষের দাবি, সর্বনাম ব্যবহার করেই যখন কাজ চলে যাচ্ছে তখন বিশেষ্য পদ ব্যবহারের দরকার কী?