বাংলা নিউজ > বাংলার মুখ > কলকাতা > Abhishek Banerjee: অভিষেকের নাম কেন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রাখলেন? ইডিকে প্রশ্ন হাইকোর্টের বিচারপতির

Abhishek Banerjee: অভিষেকের নাম কেন প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রাখলেন? ইডিকে প্রশ্ন হাইকোর্টের বিচারপতির

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। (ফাইল ছবি, সৌজন্যে পিটিআই)

গত ২৩ অগস্ট ইডির তরফে এক্স প্লাটফর্মে জানানো হয়েছিল সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কথা ওরফে কালীঘাটের কাকুর কথা। তবে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল সেই বিবৃতির মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নামও ছিল।

সম্প্রতি একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছিল এনফোর্সমেন্ট ডাইরেক্টরেট। সেখানে তাৎপর্যপূর্ণভাবে নাম ছিল তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। এনিয়ে অভিষেকের আইনজীবী প্রশ্ন তুলেছিলেন, হঠাৎ কী এমন প্রয়োজন হল যে অভিষেক ও সুজয়কৃষ্ণের নাম প্রকাশ্যে আনা হল? তাতে তদন্তের কোনও লাভ হয়েছে?

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতির প্রশ্ন ইডিকে, কেন অভিষেকের নাম করে প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করা হল?

শনিবার কলকাতা হাইকোর্টে অভিষেকের মামলা উঠেছিল। সেখানে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ প্রশ্ন করেছিলেন, অভিষেকের নাম করে কেন প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করা হল? তদন্ত বেআইনিভাবে হলে আইন মেনে আদালত ইডির মামলা খারিজ করে দেবে।

কার্যত আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ল ইডি। তবে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে ইডির কাছেও বিশেষ কোনও সদুত্তর নেই। সূত্রের খবর, ইডি আদালতে নিজেদের অবস্থান জানাতে গিয়ে কার্যত সাফাই দেয়, অনেক তদন্তেই প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। দেশের নানা মামলাতেই তদন্তের কথা প্রায় দিনই জানানো হয়।

প্রসঙ্গত গত ২৩ অগস্ট ইডির তরফে এক্স প্লাটফর্মে জানানো হয়েছিল সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের কথা ওরফে কালীঘাটের কাকুর কথা। তবে সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল সেই বিবৃতির মধ্যে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের নামও ছিল। এরপরই শোরগোল পড়ে যায় বাংলার রাজনীতির অন্দরে। তবে কি এবার সময় আসন্ন?

এদিকে পালটা অভিষেক জানান তাঁর অফিসে তল্লাশি চালাতে গিয়ে ১৬ টা ফাইল ডাউনলোড করা হয়েছে ইডির তরফে। যদি কয়েকদিন পরে এসে ইডি বলত কলেজ ভর্তি সংক্রান্ত তালিকা পাওয়া গিয়েছে তাঁর অফিস থেকে।

এই চাপানউতোর চলতেই থাকে। তবে ইডির ওই বিবৃতিকে হাতিয়ার করে মাঠেঘাটে সুর চড়াতে শুরু করেন বিজেপি নেতৃত্ব।

এদিকে ওই বিবৃতিতে লিপস অ্য়ান্ড বাউন্ডসের নাম উল্লেখ করা ছিল। সেখানকার সিওও পদে বিগতদিনে চাকরি করেছিলেন সুজয়কৃষ্ণ। আর ২০১২ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত এই সংস্থার ডিরেক্টর পদে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।

অভিষেকের আইনজীবী জানতে চেয়েছিলেন আদালতে, হঠাৎ কী এমন প্রয়োজন হল যে অভিষেক ও সুজয়কৃষ্ণের নাম প্রকাশ্যে আনা হল? তাতে তদন্তের কোনও লাভ হয়েছে?

তবে গ্রেফতার হওয়ার আগে অবশ্য কালীঘাটের কাকু সংবাদ মাধ্যমের সামনে জানিয়েছিলেন, আমার সাহেব অভিষেক। তখনও শোরগোল কিছু কম পড়েনি। তারপর আবার ইডির বিবৃতিতে সুজয়কৃষ্ণের পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম। সুজয়কৃষ্ণ বর্তমানে জেলবন্দি। কিন্তু আদালতের প্রশ্ন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম কেন ইডির প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে রয়েছে?

 

বন্ধ করুন