গ্রীষ্মের দাবদাহে নাজেহাল অবস্থা রাজ্যবাসীর। বাইরে ঘরের বাইরে বেরোলেই সূর্যের তাপে ঝলসে যাওয়ার মত অবস্থা। যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্যের কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই রয়েছে এসি বাস থেকে শুরু করে এসি ট্রেন পরিষেবা। এবার গঙ্গাবক্ষেও প্রাকৃতিক দৃশ্য উপভোগ করার জন্য বাতানুকূল লঞ্চ পরিষেবা চালু করল রাজ্য পরিবহণ দফতর। গতকাল রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এই বাতানুকূল লঞ্চের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছেন।
গঙ্গাবক্ষে এই লঞ্চে যাত্রার ফলে যাত্রীদের নতুন অভিজ্ঞতা হবে বলেই মনে করছেন রাজ্য পরিবহণ দফতর। ২০ আসন বিশিষ্ট এই লঞ্চের নাম দেওয়া হয়েছে ‘সাগরী’। এই লঞ্চ পুরোপুরি বাতানুকূল। কাঁচ দিয়ে ঘেরা এই লঞ্চের বাতানুকূল চেম্বারে বসে গঙ্গাবক্ষে গিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করতে পারবেন সাধারণ মানুষ। এই লঞ্চ ভাড়া নেওয়া যাবে যে কোনও অনুষ্ঠান পার্টিতে। এর জন্য ভাড়াও খুব বেশি রাখা হয়নি। পরিবহণ দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, মাথাপিছু এই লঞ্চে প্রতি ঘণ্টায় ভাড়া ১৯০ টাকা করে অর্থাৎ প্রতি তিন ঘণ্টায় খরচ পড়বে ৩৬০০ টাকা। লঞ্চের ঠান্ডা চেম্বারে বসে গঙ্গার দুই পারের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে।
কলকাতার মিলেনিয়াম জেটি থেকে পাওয়া যাবে এই লঞ্চ। কলকাতা পুরসভার মেয়র ও পরিবহণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘এই লঞ্চে যদি আমরা খুব ভাল সাড়া পাই তাহলে আরো একটি এই ধরনের মঞ্চে আমরা নামাব। মিটিং, পার্টি, গ্যাদারিং এর জন্য ভাড়া নেওয়া যেতে পারে। লাঞ্চ, প্যান্ট্রি, ওয়াশরুম সব আছে লো বাজেটে।’ প্রকৃতিপ্রেমীরা লঞ্চে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য খুব বেশি উপভোগ করবেন বলেই মনে করছে পরিবহণ দফতর। আশা করা হচ্ছে এই লঞ্চ পরিষেবা ভাল সাড়া পাওয়া যাবে।